পরিবহন শ্রমিকদের আকস্মিক আন্দোলনের কারণে ময়মনসিংহে সব দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ রয়েছে। একইসঙ্গে বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ রুটে যানচলাচলও। আর এই কর্মবিরতিকে ঘিরে আড্ডা ও খোশগল্পে মেতেছেন বাসচালক ও শ্রমিকরা।
বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে নগরের মাসকান্দা, পাটগুদাম বাসটার্মিনাল ও ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড ঘুরে এমন চিত্রই দেখা মেলে।
মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ডে আলাপ হয় এনা পরিবহনের চালক সাইফুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘যে জরিমানা করা অইছে (হয়েছে) এইডা আমরা মানি না। চালকরা ইচ্ছা কইরা (করে) কিছু করে না। তাইলে এত টেহা (টাকা) দিমু কইত্তে (কোথা থেকে)। না খাইয়া বইয়া (বসে) থাকমু তাও আইন আগের মতো না করলে বাস চালাইতাম না।’
এসময় 'হ-হ' বলে তার কথায় সায় দিলেন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরও কয়েকজন চালক-শ্রমিক। শাহীন নামের আরেক চালক বলেন, ‘সরকার যদি আমগোরে (আমাদের) লইয়া না ভাবে তাইলে ত অইব (হবে) না। আমগোর দাবি না মানলে গাড়ির চাকা চলতো (চলবে) না।’
পরিবহন চালকদের এমন সিদ্ধান্তে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। আব্দুল্লাহ আল নোমান নামের এক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘কিছু হলেই তারা ধর্মঘট করে বসে। আর আমরা যেন তাদের কাছে পুরোপুরি জিম্মি। সরকার কখনো তাদের বিষয়ে কঠোর হয়নি বলেই এভাবে কিছুদিন পরপরই আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। সরকারকে এদের কঠোরভাবে প্রতিহত করতে হবে।’
এদিকে, অভ্যন্তরীণ বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির 'ডি' ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের। বাস না পেয়ে সিএনজি ও অটোরিকশায় করে যেতে হচ্ছে তাদের। আর এ সুযোগে তিন থেকে চারগুণ বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন চালকরা।
কবীর নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘ত্রিশালের বাস যে চলবে না তা জানা ছিল না। এখন সিএনজি করেই বাড়তি ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে। কিছু করার নাই, পরীক্ষাতো দিতে হবে।’