স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, শিক্ষিত ও মার্জিত মানুষের হাতে যুবলীগের নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে তথ্যমন্ত্রীর দফতরে ওমানের রাষ্ট্রদূত তাঈদ সেলিম আব্দুল্লাহ আল আলাউই'র সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সমসাময়িক ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
যুবলীগের নতুন কমিটি অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কিছু নেতৃত্বের কারণে যুবলীগকে নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল। কিন্তু গতকালের সম্মেলনের মাধ্যমে যুবলীগের একটি চমৎকার কমিটি গঠিত হয়েছে। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতার সন্তানের হাতেই যুবলীগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এবং তিনি অত্যন্ত শিক্ষিত ও মার্জিত মানুষ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স করেছেন, এরপর যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছেন। তিনি ইস্ট ওয়েস্টে পড়াচ্ছেন। আর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যাকে দেওয়া হয়েছে তিনিও ভালো মানুষ। তাকে নিয়ে বিন্দুমাত্র প্রশ্ন নেই। তাদের নেতৃত্বে যুবলীগ যুবসমাজের ভ্যানগার্ড হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারবে।
যুবলীগের কমিটির মধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কোনো বার্তা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের কয়েকটি অঙ্গ সংগঠনের সম্মেলন হয়েছে। সেখানে যাদের নেতৃত্বে দেওয়া হয়েছে তারা সবাই স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষ, সৎ মানুষ। রাজনীতিকে যারা কলুষিত করতে চায় এবং রাজনীতিতে বলিকায়ন আর দুর্বৃত্তায়নের যে প্রক্রিয়া জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন এবং খালেদা ও এরশাদ ষোলকলা পূর্ণ করেছিলেন, রাজনীতিকে সেই চক্র থেকে বের করে এনেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, রাজনীতিকে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির, শিক্ষিত মার্জিত মানুষের হাতে তুলে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী রাজনীতিকে বলিকায়ন ও দুর্বৃত্তায়নের চক্র থেকে মুক্তি দিয়েছেন, যা রাজনীতি ও দেশের জন্য মঙ্গল। প্রধানমন্ত্রী যে পথ দেখিয়েছেন, অন্য দলগুলো যারা দুর্বৃত্ত আশ্রয়ী, যারা এখনও পেট্রোল বোমা আশ্রয়ী ও দুর্বৃত্তকে লালন করে তারা এখান থেকে শিক্ষা নেবে বলে আশা করি।
বিএনপি হরতাল, অবরোধসহ দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি দেয়ার কথা জানিয়েছে, সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা অতীতে জনগণকে জিম্মি করার রাজনীতি করেছে। জনগণকে জিম্মি করার রাজনীতি অনুসরণ করার কারণে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। রাজনীতি জনগণের কল্যাণের জন্য। প্রতিবাদের ভাষা জনগণকে দিনের পর দিন জিম্মি করা নয়। যেটি খালেদার নেতৃত্বে বিএনপি করেছে। প্রতিবাদের ভাষা জনগণের ওপর বোমা নিক্ষেপ নয়। তারা যদি আগের সেই পথ আবার অনুসরণ করে তারা জনবিচ্ছিন্ন নিঝুম দীপের বাসিন্দা হয়ে যাবে।
ওমানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে একযোগে কাজ করার বিষয়ে ওমানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা হয়েছে। কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের জন্য তারা একটি ভিলেজ করছে। সেখানে ১৬০০ পরিবারের জন্য সকল ব্যবস্থা করছে ওমান। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের প্রসঙ্গেও তার সঙ্গে কথা হয়েছে। ওমানে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে। ওমানের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বাংলাদেশিরা কাজ করছেন, রাষ্ট্রদূত তাদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।