রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আধুনিক বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য ওই কম্পাউন্ডে একটি আটতলা ভবন নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। মূল ভবন ভেঙে ফেলার আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল লোকবল নতুন ভবনে উঠবে।
ভবনটি যেখানে নির্মাণ হচ্ছে তার অবস্থান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মূল গেটের পশ্চিমে সুপ্রিম কোর্টের বিপরীত দিকে। তাই এখন সকল যাতায়াত দক্ষিণ দিক দিয়ে হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মূল ভবনটি ব্রিটিশ আমলে নির্মিত। এই ভবনটিসহ অ্যানেক্স ভবন ও কনস্যুলার ভবনও অনেক দিনের পুরনো। এসব ভবন বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অফিস কক্ষের অভাব রয়েছে। এ জন্য আধুনিক সুবিধাসম্বলিত বহুতল ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সব কিছুই নতুন করে গড়ে তোলা হবে। প্রাথমিকভাবে নতুন ভবন নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এর পুরোটাই দেবে সরকার। সেগুনবাগিচায় মোট ৩ দশমিক ২৪ একর জমিতে এ ভবন নির্মিত হবে। নতুন ভবনের কাজ শুরু হয়েছে চলতি বছর সেপ্টেম্বরে। ঠিকাদার কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে দেড় বছরের মধ্য এটির নির্মাণ কাজ শেষ করবে তারা। নতুন ভবন নির্মিত হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের জন্য আধুনিক অফিস কক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানের সভাকক্ষের স্বল্পতা দূর হবে।
তিনি আরও জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং গণপূর্ত অধিদফতর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কম্পাউন্ডে একটি আটতলা ভবন নির্মিত হবে। পরবর্তীতে বর্তমানের পুরনো ভবনের জায়গায় একটি অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্বলিত আন্তর্জাতিক মানের ২০-তলা এনার্জি অ্যাফিসিয়েন্ট গ্রিন বিল্ডিং অফিস ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রথম পর্যায়ের কাজের জন্য নেওয়া প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের সুবিধার্থে প্রথম পর্যায়ে আটতলা ভবনটি নির্মাণের লক্ষ্যে আলোচ্য প্রকল্পটি ৬১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের আগে বেশ কয়েকবছর ধরেই অস্থায়ী একটি ভবন ভাড়া নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু অনেক খুঁজেও যুতসই কোনো ভবন জোগাড় করতে পারেনি মন্ত্রণালয়। তাই এই আট তলা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়।