রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ২৬ জেলায় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ রয়েছে পেট্রোল পাম্প। জ্বালানি তেল না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা। এতে করে ছোট-বড় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও যাত্রীরা পড়েছেন দুর্ভোগে। ব্যাহত হচ্ছে বোরো মৌসুমের বীজতলা তৈরির কাজও।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। ধর্মঘটে রংপুর বিভাগের আট জেলার ৩৬০টি পেট্রোল পাম্প ও ৪ শতাধিক জ্বালানি তেল পরিবেশক প্রতিষ্ঠান তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছে।
মূলত জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন ও ট্যাংকলরির ভাড়া বৃদ্ধি, পুলিশি হয়রানি বন্ধসহ ১৫ দফা দাবিতে গতকাল রোববার থেকে তিন বিভাগের ২৬ জেলায় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট (কর্মবিরতি) পালন করেছে পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। এতে জ্বালানি তেল উত্তোলন, পরিবহন ও বিপণনসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
মাহিগঞ্জ সাতমাথা এলাকার কৃষক আব্দুল মতিন মিয়া জানান, পাম্প থেকে ডিজেল না পাওয়ায় দুইদিন ধরে বীজতলা তৈরিসহ সেচ বন্ধ রাখতে হয়েছে। এতে আলু, তামাক, সরিষাসহ শীতকালীন সবজির চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। এ রকম ধর্মঘট চলতে থাকলে কৃষকরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রংপুর অঞ্চলের উদ্যান বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ খোন্দকার মো. মেসবাহুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, এবার রবি মৌসুমে এ অঞ্চলে ২৩ হাজার ২০১ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরি করা হচ্ছে। কৃষকরা যদি নিয়মিত সেচ দিতে না পারে তাহলে বীজতলার ক্ষতি হবে।
এদিকে জ্বালানি তেল সরবরাহ করতে না পারায় পুরো বিভাগে মোটরসাইকেল, মিনি বাস, মাইক্রোবাস, ট্রাকসহ পণ্যবাহী পরিবহন চলাচল কমে গেছে। সড়কেও নেই তেমন পরিবহন চাপ।