রাজশাহীর চারঘাট সীমান্তে গত ১৭ অক্টোবর বিজিবি-বিএসএফ গোলাগুলিতে এক বিএসএফ সদস্য নিহত হয়। ওই ঘটনায় বিজিবি’র ডিআইজি, রাজশাহী অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদকে বরখাস্ত এবং গুলি ছোঁড়া বিজিবি সদস্যকে কোর্ট মার্শালের মুখোমুখি হতে হচ্ছে- এমন খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে দেশের কিছু অনলাইনেও খবরটি প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে বিজিবি অধিনায়ককে বরখাস্ত করার খবর মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন খোদ রাজশাহী বিজিবি-১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে তিনি বার্তা২৪.কম-কে একথা বলেন।
বিজিবি অধিনায়ক ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘আমি স্বপদে সসম্মানে চাকরিতে বহাল আছি। আমার আগের কর্মস্থল রাজশাহীতে আছি। বিজিবি-১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক হিসেবে আছি। আমাকে বরখাস্ত বা অন্য কোথাও সরিয়েও দেওয়া হয়নি। কোনো বিচারের মুখোমুখিও করা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দয়া করে আপনারা এসব অপপ্রচার ছড়াবেন না। ভারতীয় বাহিনীর কোন কর্মকর্তা কী বললেন, তা কোন ভারতীয় মিডিয়া লিখলো; তা আপনারা দেশে বসে লিখে দিচ্ছেন। সামাজিক মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। আমরা দেশে আছি, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগও করছেন না। এটা দুঃখজনক। কেউ এসব বিশ্বাস করে গুজব ছড়াবেন না।’
গত ১৭ অক্টোবর সীমান্তরেখা অতিক্রম করে প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ ধরতে ভারতীয় ৪ জেলে বাংলাদেশের সীমানায় অবৈধভাবে ঢুকে পড়ে। বিজিবি ও মৎস্য কর্মকর্তাদের যৌথ অভিযানে চারজন জেলেকে আটক করা হয়। পরে বিএসএফ তিন জেলেকে জোর করে ছিনিয়ে নেয়। অপর জেলে প্রণব মন্ডলকে ছিনিয়ে নিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে গুলি ছুঁড়ে বিএসএফ। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। এতে এক বিএসএফ সদস্য নিহত হয়।