কাঁদছেন বাবা, মূর্ছা যাচ্ছেন মা

ময়মনসিংহ, জাতীয়

উবায়দুল হক, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ | 2023-08-26 22:16:02

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বিজয়নগরে চলছে শোকের মাতম। রুম্পার মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকালে রুম্পার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মেয়ের শোকে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন মা নাহিদা আক্তার পারুল। বারবার চিৎকার করে বলছেন আমার মেয়েকে এনে দাও, আমার মেয়েকে এনে দাও। আমার মেয়েকে কেন মেরে ফেললো, আমি বিচার চাই, বিচার চাই। স্বজনরা তাকে শান্তনা দিয়েও কান্না থামাতে পারছেন না।

নিহত শিক্ষার্থী রুম্পার বাবা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

কান্নাজড়িত কণ্ঠে নাহিদা আক্তার পারুল বলেন, মেয়ে জরুরি কাজের কথা বলে বাইরে গেল, ফিরল লাশ হয়ে। না জানি আমার মেয়েকে কত কষ্ট দিয়ে ওরা মেরেছে। মরার সময় মেয়েটা কতবার না জানি, মা-মা বলে চিৎকার করেছে।

তিনি আরও বলেন, ইউনিভার্সিটিতে ছাত্র-ছাত্রীদের শিফট আলাদা হওয়ায় দু’দিন ধরে মেয়ের মনও খারাপ ছিল। তার সঙ্গে কারো বিরোধ ছিল কিনা তা বলতে পারছি না। আমার মেয়েকে কেনো মেরে ফেললো, আমি বিচার চাই, বিচার চাই।

বাড়ির সামনেই পারিবারিক গোরস্থানে মেয়ের কবরের সামনেই বসে অঝোরে কাঁদছেন পুলিশ কর্মকর্তা বাবা মো. রুককুন উদ্দিন। স্বজনরা তাকে শান্তনা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

নিহত শিক্ষার্থী রুম্পার কবর/ছবি: বার্তা২৪.কম

রুম্পার বাবা মো. রুককুন উদ্দিন হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক হিসাবে কর্মরত। মা নাহিদা আক্তার পারুল গৃহিণী। এক ভাই ও এক বোনের রুম্পা সবার বড়।

রুম্পা স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। আর ছোট ভাই আশরাফুল আলম রাজধানীর ঢাকার ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যয়নরত।

রাজধানী ঢাকার শান্তিবাগে একটি ফ্ল্যাটে মায়ের সঙ্গে থেকে পড়াশোনা করতেন রুম্পা ও তার ছোট ভাই। পড়াশোনার পাশাপাশি রুম্পা টিউশন করতেন। গত বুধবার টিউশন শেষে বাসায় ফেরেন রুম্পা। বাইরে কাজ আছে বলে আবার বাসা থেকে বের হন। এরপর আর বাসায় ফেরেননি। স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাননি। বৃহস্পতিবার রুম্পার মাসহ স্বজনরা রমনা থানায় গিয়ে লাশের ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর