বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিত্বে গুণমুগ্ধ হন যে কেউই। মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়ার যে অসীম ক্ষমতা তার মাঝে রয়েছে সেটি দিয়ে তিনি খুব সহজেই যে কাউকে আপন করে নিতে পারেন। আর সে চিত্রই ফের দেখা গেল চলতি বছরের বঙ্গবন্ধু বিপিএল টি-২০ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।
এবার প্রধানমন্ত্রীর ভক্ত হয়েছেন বলিউড মেগাস্টার সালমান খান ও বিউটিকুইন ক্যাটরিনা কাইফ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ১০-১৫ মিনিটের সাক্ষাতেই তারা তার ভক্ত হয়ে যান।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সালমান ক্যাটরিনার দেখা হয় মিরপুরের শেরে বাংলা ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। রোববার (৮ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু বিপিএল টি-২০ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান। এই অনুষ্ঠানেই পারফর্ম করতে সকালে ঢাকায় এসে উপস্থিত হন সালমান-ক্যাটরিনা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়েই প্রেসিডেন্ট বক্সে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন সালমান ও ক্যাটরিনা। আর সেই সাক্ষাতের অনুভূতি তারা ভাগ করে নেন অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে।
মাঠে উপস্থিত দর্শক শ্রোতাদের উদ্দেশে ক্যাটরিনা কাইফ বলেন, আমি অনেক অনেক শুকরিয়া জানাতে চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমাদের এখানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। আমরা বাংলাদেশে আসতে পেরে খুব কৃতজ্ঞ। আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে পেরে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা হওয়া সত্যিই আনন্দময়। আমরা সত্যিই বাংলাদেশকে খুব ভালোবাসি।
ক্যাটরিনার কথা টেনে নিয়ে সালমান খান বলেন, ‘আমরা শেখ হাসিনাকে সত্যিই অনেক ভালোবাসি।’
‘তার শুধু নামই হাসিনা নয় বরং তিনি সত্যিকারের হাসিনা (সুন্দর)। মন থেকে সুন্দর, ব্যবহারে সুন্দর, হৃদয় দিয়েও সুন্দর। আমরা কিছুক্ষণ আগে তার সঙ্গে দেখা করেছি। তার ব্যক্তিত্বে আমার মোহিত। তার অমায়িক হাসি, ব্যক্তিত্ব, মর্যাদা, ধীরশক্তি আকর্ষণীয়। সত্যি তার হাসি সম্মোহন করে নেয়। এবং তার চোখ...। তিনি বাংলাদেশে সবচেয়ে ভালোবাসার মানুষ। টানা তিনবারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা আপনাকে ভালোবাসি।
সালমান-ক্যাটরিনা যখন হাজারো দর্শকের সামনে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ তখন মাঠের বড় বড় পর্দায় ভেসে ওঠে প্রধানমন্ত্রীর হাস্যজ্জ্বল চেহারা। এসময় দর্শকরাও তুমুল করতালিতে সালমান-ক্যাটরিনার কথায় সায় জানান।
বাংলা ভাষাভাষী বন্ধুদের কথা স্মরণ করে সালমান খান বলেন, আমার অনেক বন্ধু আছে ইন্ডাস্ট্রি ও তার বাহিরে যারা খুব সাবলীলভাবে বাংলা বলতে পারে। কিন্তু এই ভাষাটি আমি এখনো পারি না। খুব কঠিন। এমন কী ক্যাটরিনা যে কিনা খুব ভালো ইংলিশ বলে, হিন্দি ততটা পারে না সেও দারুণ সাবলীল বাংলা বলতে পারছে দেখি।
এসময় উপস্থাপক সালমান খানকে কিছু বাংলা বলানোর চেষ্টা করলে, সালমান খান বলেন, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি, আমি সবাইকে ভালোবাসি, আমি আমাকেও ভালোবাসি।’
সালমান খান তার পিতা সেলিম খানের কথা অনুসারে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকেও স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বাবাকে যখন বলেছি বাংলাদেশে যাচ্ছি তখন তিনি আমাকে বলেছেন, যেন আমি এখানে এসে কাজী নজরুল ইসলামের নাম নেই। আমার বাবা কাজী নজরুল ইসলামের ভক্ত। তার অনেক কবিতা তিনি পড়েছেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে বিপিএল এর আয়োজনকে বিশেষ হিসেবে উল্লেখ করে সালমান খান বলেন, বঙ্গবন্ধু জনাব মুজিবুর রহমান সাহেব, এটা তার ১০০তম জন্মবার্ষিকী। তিনি বাংলাদেশ তৈরি করেছেন। তিনি এই দেশের জাতির পিতা। তার জন্মশর্তবার্ষিকীতে আমি পুরো দেশকে অভিনন্দন জানাই।
ভবিষ্যতে দাওয়াত পেলে আবারো বাংলাদেশে আসার ইচ্ছের কথাও জানিয়ে দেন সালমান-ক্যাট। সালমান খান বলেন, এখানকার ভক্তরা দারুণ। আমন্ত্রণ পেলে আবারো এ দেশে আসতে চাই।
আরও কিছুটা খুনসুটি করে সালমান ও ক্যাটরিনা এক সঙ্গে বলে ওঠেন ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’ এরপর তারা ‘সোয়্যাগ সে কারেঙ্গে সাবকা সোয়াগাত’-এ যৌথভাবে নাচ পরিবেশন করে দর্শকদের থেকে বিদায় নেন।