এমএনপি চালু নিয়ে অনিশ্চয়তা, বিটিআরসি’র সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ অপারেটররা

, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-03 20:33:56

ঢাকা: মোবাইল নাম্বার পোর্টেবিলিটি-এমএনপি (বর্তমান মোবাইল নাম্বার অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের সুযোগ) চালুর আগ মুহূর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নতুন নির্দেশনায় ক্ষুদ্ধ মোবাইল ফোন অপারেটররা।

মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন এমটব বৃহস্পতিবার বলেছে, যখন এমএনপি সেবা দিতে মোবাইল ফোন অপারেটররা চুড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং বিভিন্ন ধরনের টেস্টিং করছে ঠিক সে সময় বিটিআরসির একটি নির্দেশনা পুরো প্রক্রিয়াকে ব্যহত হওয়ার মত অবস্থায় ফেলে দিয়েছে।

আগামী ১ আগস্ট থেকে দেশে চালু হচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত এমএনপি। এরই মধ্যে তিন মোবাইল অপারেটর এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। গত ২৫ জুন বিটিআরসি অপারেটরগুলোর কাছে যে নির্দেশনা পাঠিয়েছে তাতে বলা হয়েছে যে, এমএনপির ক্ষেত্রে গেটওয়েগুলো যে সংযোগের দায়িত্ব পালন করার কথা তা এখন মোবাইল অপারেটরদের করতে বলা হয়েছে। এর ফলে মোবাইল অপারেটরগুলোকেই সংশ্লিষ্ট কারিগরি উন্নয়নের কাজ করতে হবে। অর্থাৎ প্রযুক্তিগতভাবে অনেক জটিল আকার ধারণ করবে। কিন্তু এর জন্য কোনো অতিরিক্ত সময়ও দেওয়া হয়নি অপারেটরদের।

এমটব বলছে, নির্দেশনায় কল আদান-প্রদান ব্যবস্থায় যে পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে, তা আইএলডিটিএস নীতিমালা ও এমএনপি নীতিমালার পরিপন্থী। গেটওয়ের দায়িত্ব সেলফোন অপারেটরদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হলে এ দুটি নীতিমালার সংশ্লিষ্ট ধারার ব্যত্যয় ঘটবে। আইএলডিটিএস নীতিমালার ধারা ৫.২ ও ৬.৪ এবং এম এন পি গাইডলাইনের ৫.৩ ও সিডিউল ৭ (৪) ধারা অনুযায়ী এই দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট গেটওয়েগুলোর।

এর ফলে কারিগরিভাবেও এ নির্দেশনায় জটিলতা তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। কারণ এরই মধ্যে সেবাটি চালুর লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে সেলফোন অপারেটররা। সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন ও টেস্টিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে গত ২৪ জুন থেকে। ৮ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউজার অ্যাকসেপট্যান্স টেস্ট (ইউএটি) শুরু হওয়ার কথা। আর সব কিছু ঠিক থাকলে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সেবাটি চালু করা সম্ভব হতো। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এমএনপি চালু করতে হলে টপোলজিতে নতুন করে আর কোনো পরিবর্তন সম্ভব নয়।

নতুন এ নির্দেশনার ফলে এমএনপি সেবা চালুর ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ, কারিগরি ও বাণিজ্যিকভাবে কি ধরনের প্রভাব পড়বে তা জানিয়ে সম্প্রতি শীর্ষ তিন অপারেটর বাংলালিংক, গ্রামীনফোন ও রবির শীর্ষ কর্মকর্তারা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে যৌথ স্বাক্ষরে একটি চিঠি দিয়েছেন ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর