পাহাড়তলী কারখানায় মেরামত হচ্ছে যাত্রী-মালবাহী ট্রেন

, জাতীয়

তৌফিকুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 17:54:17

পাহাড়তলী রেল কারখানা থেকে: চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ক্যারেজ ও ওয়াগন কারখানায় প্রধানত মেরামত করা হয় মিটারগেজের যাত্রীবাহী কোচ ও মালবাহী ট্রেন। দুর্ঘটনার কবলে পড়া ও মেয়াদোত্তীর্ণ বা বিভিন্ন কারণে নষ্ট হয়ে যাওয়া কোচ ও মালবাহী বগির ভারী মেরামতের জন্য এটিই একমাত্র স্থান।

প্রায় ৩৫ একর জমির ওপর এই রেল কারখানা। এর মধ্যে শেড এরিয়া আছে প্রায় ১২ একর। ওপেন এরিয়া আছে প্রায় ২৩ একর। এছাড়া কারখানা জুড়ে প্রায় ১২ কিলোমিটার রয়েছে রেলওয়ে ট্র্যাক। কারখানায় যাত্রীবাহী কোচ ও মালবাহী বগি মেরামতের জন্য মোট ২২টি ওয়ার্কশপ রয়েছে।

কোচ ও মালবাহী বগি মেরামতের জন্য রয়েছে ২২টি ওয়ার্কশপ

কারখানা সূত্রে জানা গেছে, পাহাড়তলী ক্যারেজ ও ওয়াগন কারখানার জন্য প্রয়োজন ২ হজার ১২৬ জন লোকবল। কিন্তু বর্তমানে কর্মরত আছেন ১ হাজার ৩৩জন। লোকবল সঙ্কট রয়েছে ১ হজার ৯৩ জন, প্রায় ৫০ ভাগ কম। এছাড়া কারখানায় রলিং স্টক রয়েছে যাত্রীবাহী কোচ ৯০৭টি, ওয়াগণ ২ হজার ৫৩০টি মালবাহী বগি। ৪৩১টি মেশিনারিজ রয়েছে, যার মধ্যে ২০০টির বয়স ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন: রেল মেরামত ও যন্ত্রাংশ তৈরির কাজে নারীরা

বাংলাদেশ পাহাড়তলী রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক কাজী মোহাম্মদ ওমর ফারুক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘পাহাড়তলী কারখানায় পূর্বে কখনো আধুনিকায়ন হয়নি। আধুনিকায়ন করার জন্য নতুন প্রজেক্ট শুরু হয়েছে। ফলে জনবল ঘাটতি, অপ্রতুল বাজেট, মেয়াদোত্তীর্ণ প্ল্যান্টস ও মেশিনারিজ, জরাজীর্ণ অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা এসব সমস্যা অনেকটাই কেটে যাবে।’

এ কারখানার ৫০ বছরেরও পুরোনো মেশিনারিজ রয়েছে

সার্বিক বিষয় নিয়ে পাহাড়তলী ক্যারেজ ও ওয়াগণ কারখানার ওয়ার্কাস ম্যানেজার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘এই কারখানায় যাত্রীবাহী কোচ ও মালবাহী বগি মেরামত করা হয়। কারখানায় এখন পোড়া বগি, দুর্ঘটনায় কবলিত পড়া বগি, অধিক সময় ধরে মেরামতহীন পড়ে থাকা বগিগুলো কম আসছে। আগে ওভারডিউ ছিল দুই বছরের অধিক। এখন সেটা কমে ৬ মাস চলে এসেছে। এছাড়া শপে মেরামতের অপেক্ষায় ছিল সিজিপিওযাই ১৪০টির মতো বগি, সেটাও কমে এখন শূন্যে নেমে এসেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ কারখানায় প্রয়োজনের চেয়ে লোকবল কম রয়েছে। তবে এর আউটটার্ন বৃদ্ধি করা হয়েছে। একই সঙ্গে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি থেকে এখন পর্যন্ত উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় কারখানার আউটটার্নে অনেক বাধা এবং প্রতিকূলতা ছিল। কারখানায় প্রায় ৫০টির মতো পোড়া, দুর্ঘটনায় কবলিত ও দীর্ঘদিন ইয়ার্ডে পড়েছিল এ ধরনের বগিগুলো মেরামত শেষে আউটাটার্ন দেওয়া হয়েছে। রেলওয়ে ডিভিশন কারখানা থেকে চাকা, যন্ত্রংশসহ সকল মালামাল সরবারাহের পরিমাণ পূর্বের তুলনাই অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।’

এখানে ট্রেনের মেরামত কাজ চলছে

এ সম্পর্কিত আরও খবর