ঝিনাইদহ: জেলায় গত বছরে নিম্ন আদালতগুলোতে ৩ হাজার ৮৬৯টি ফৌজদারি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে ২৫১টি মামলায় আসামির সাজা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা ২৭৭ জন। যা মোট মামলার ১২ ভাগ।
ঝিনাইদহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি চিফ জুডিশিয়াল ও অন্যান্য জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গুলোতে পেন্ডিং ফৌজদারি মামলার সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ১৭৬টি। চলতি বছর আরও ২ হাজার ৭৫৭টি ফৌজদারি নতুন মামলা দায়ের হয়।
সূত্র আরও জানায়, নিষ্পত্তিকৃত মামলার মধ্যে সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে বিনা বিচারে ৯৩২টি মামলা নিষ্পত্তি হয়। যা নিষ্পত্তিকৃত মামলার ৪৫ দশমিক ২৪ ভাগ। ১১২৮টি মামলা বিচার শেষে নিষ্পত্তি হয়। এরমধ্যে সাক্ষ্য প্রমাণে দোষী প্রমাণিত না হওয়ায় ৮৭৭টি মামলার আসামিরা খালাস পায়। বিচারে খালাসপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা ৬ হাজার ৯৬৮ জন। বিচারকালে আদালতগুলো ২৩ হাজার ৭৩০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
এদিকে দু’ভাবে ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়ে থাকে। অপরাধ ঘটার পর বাদী সরাসরি সংশ্লিষ্ট থানাতে মামলা দায়ের করতে পারেন। এ মামলা গুলো জি আর মামলা বলে পরিচিত। পুলিশ তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা পেলে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। আদালতে আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের পর বিচার কাজ শুরু হয়ে থাকে। থানাতে মামলা দায়েরের পর সাক্ষ্য প্রমাণের সত্যতা পাওয়া না গেলে পুলিশ আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করে। তখন আসামিরা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পায়। মামলা খারিজ হয়ে যায়।
অপরদিকে বাদী সরাসরি আদালতে মামলা দায়ের করে থাকে। এ মামলা গুলো সি আর মামলা বলে পরিচিত। বাদীকে মামলার সত্যতা প্রমাণ করতে হয়। আদালত আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। এরপর বিচার শুরু করে থাকে।