অনলাইনে ধান ক্রয়ে সাড়া নেই, আবেদনের সময় বৃদ্ধি

রংপুর, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর | 2023-08-30 08:07:59

প্রথমবারের মত সরকারিভাবে আমন মৌসুমে অনলাইনে ধান ক্রয় করছে সরকার। স্মার্টফোনে ‘কৃষকের অ্যাপ’ ব্যবহার করে মাঠ থেকেই ধান বিক্রয় করতে পারবেন কৃষকরা। সময়, খরচ ও হয়রানি রোধসহ প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান-চাল সংগ্রহ করার লক্ষ্যে সরকার এ প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ১৬ জেলার ১৬টি উপজেলাতে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কার্যক্রম শুরু হলেও এতে কৃষকের কাছ থেকে তেমন সাড়া মিলছে না।

রংপুর বিভাগীয় খাদ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, রংপুর বিভাগের রংপুর সদর ও দিনাজপুর সদর উপজেলার ৪৯ হাজার কৃষকের মধ্যে মাত্র ১৩ হাজার কৃষক অনালাইনে ধান বিক্রয়ের জন্য আবেদন করেছে। এর মধ্যে রংপুর সদরে ৮ হাজার ও দিনাজপুর সদরের ৫ হাজার কৃষক রয়েছে।

এদিকে রংপুর সদর উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়নের কৃষক মমতাজ উদ্দিন বলেন, কৃষি অফিস থেকে অ্যাপের মাধ্যমে ধান বিক্রয়ের সুবিধার বিষয়টি জানার পর তিনি মোবাইল ফোনে অ্যাপ দিয়ে আবেদন করেছেন। প্রক্রিয়াটি তার কাছে সহজ ও স্বচ্ছ বলে মনে হয়েছে।

অন্যদিকে পালিচড়া এলাকার কৃষক ফজলার রহমান জানান, কৃষকের অ্যাপ সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই। তবে সে তার ছেলের সহযোগিতায় ধান বিক্রির জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছেন।

রংপুর সদরের খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা অমূল্য কুমার সরকার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘ডিজিটাল খাদ্য শস্য সংগ্রহ ব্যবস্থাপনায় মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে খাদ্য শস্য সংগ্রহের জন্য সিটি এলাকাসহ উপজেলা ও ইউনিয়নগুলোতে প্রচারণা চালানো হয়েছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ৩৬ হাজার কৃষকের মধ্যে ৮ হাজার কৃষক আবেদন করেছেন। এছাড়া দিনাজপুরে ১৩ হাজার কৃষকের মধ্যে পাঁচ হাজার কৃষক আবেদন করেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘কৃষকের অ্যাপ এর মাধ্যমে ধান বিক্রয়ে কৃষকদের বিভিন্নভাবে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। গত ৭ ডিসেম্বর আবেদনের শেষ দিন ছিল। কিন্তু তা বাড়িয়ে ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করা হয়েছে। অ্যাপ দিয়ে আবেদনকারীদের মধ্য থেকে লটারি করা হবে। আগামী ২৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার লটারির কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।’

বর্তমানে বাজারে ধান বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা দরে। কিন্তু সরকার কৃষকের কাছ থেকে আমন ধান ক্রয় করবে প্রতিমণ ১ হাজার ৪০ টাকায়।

উল্লেখ্য, অনলাইনে ধান বিক্রির জন্য সর্বপ্রথম অ্যাপটি স্মার্টফোনে ডাউনলোড করতে হবে। এরপর জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করে সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রির আবেদন করা যাবে। নিবন্ধনের দিন থেকেই কৃষক ধান বিক্রির আবেদন করতে পারবেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর