পাটকলের আমরণ অনশনে অসুস্থ অর্ধশতাধিক শ্রমিক

খুলনা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা | 2023-08-30 00:41:38

১১ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকরা। আমরণ অনশনে অংশগ্রহণ করে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অর্ধশতাধিক শ্রমিক।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টা থেকে স্ব স্ব মিল গেটে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করে শ্রমিকেরা। রাতভর মিলগেটেই অবস্থান করেন তারা। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনার ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, স্টার, ইস্টার্ন, আলিম এবং যশোরের কার্পেটিংয়ে স্ব স্ব পাটকলের উৎপাদন বন্ধ রেখে মিলের প্রধান ফটকে এ কর্মসূচি পালন করছেন শ্রমিকরা।

এ কারণে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অর্ধশতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। ২০ জন শ্রমিক অতিরিক্ত অসুস্থ হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা স্যালাইন দিয়েও অনশন পালন করছেন।

 ‍শ্রমিকের গায়ে লেখা প্লাকার্ড

আন্দোলনে অংশ নেওয়া শ্রমিকরা বলেন, হাতে মজুরি নেই, ঘরে চাল-ডাল-তেল নেই। অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা নেই। পরিবারের সবাই না খেয়ে আছে। এভাবে কী জীবন চলতে পারে? তাই জীবন দিয়ে হলেও আমাদের ১১ দফা দাবি আদায় করবো।

ক্রিসেন্ট জুটমিলের শ্রমিক করিম আলী বলেন, খালি হাতে বাড়ি ফিরতে পারবো না। এর থেকে অনশনে মরে যাবো। কিন্তু দাবি না মানলে আমাদের মরদেহ যাবে। তবু ফিরবো না বাড়ি।

শ্রমিক নেতারা জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের আমরণ অনশনে সাধারণ শ্রমিক মো. আহাদ আলী, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. শাহাবুদ্দিন, মকবুল গাজী, আবুল খায়ের হেমায়েত, মো. হিরন, মো. সাজেদুল ইসলাম ওসিম, আনিস হায়দার, মো. জব্বার হাওলাদার, আব্দুল সত্তার, আবুল হোসেন হারুন, খোকন সরদার, কাওসার, জাহাঙ্গীর, তৌয়েব আলী, মন্টু, খুকি, রেহেলাসহ প্রায় অর্ধশতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হওয়ায় তাদেরকে খুমেকে পাঠানো হয়েছে। তবে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়লেও অনশনস্থলে স্যালাইন দিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন।

 আমরণ অনশনে শ্রমিকরা

রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক খলিলুর রহমান বলেন, অভুক্ত থেকে আমরণ অনশনে অংশ নেওয়া অনেক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। যতই কষ্ট হোক, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ১১ দফা দাবির এ অনশন চলবে।

বিজেএমসির খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের সমন্বয়কারী বনিজ উদ্দিন মিয়া বলেন, শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি একশ’ কোটি টাকা ইতোমধ্যেই পরিশোধ করা হয়েছে। এখন শ্রমিকরা মজুরি কমিশনের জন্য আন্দোলন করছে। মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন মন্ত্রণালয় ও সরকারের নীতি-নির্ধারকদের কাজ। এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।

এ সম্পর্কিত আরও খবর