বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে প্রতিমন্ত্রী রাঙা

, জাতীয়

কান্ট্রি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-29 01:16:19

রংপুর: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙা এমপি জানিয়েছেন, বন্যা মোকাবেলায় সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। বিশেষ করে তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের দুর্ভোগ যেন না বাড়ে সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দেয়া আছে। 

শুক্রবার (০৬ জুলাই) দুপুরে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের সময় এসব কথা জানান তিনি।

রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া ও আংশিক সিটি) আসনের এমপি মসিউর রহমান রাঙা বলেন, ‘আমি ঢাকা থেকে নিয়মিত খোঁজ খবর নিয়েছি। কোথায় কি রকম ক্ষতি হয়েছে এর ধারণা পেয়েছি। নদী গর্ভে বিলীন হতে বসা ইচরির চর এলাকার শংকরদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বালুর বস্তা দিয়ে রক্ষা করা হয়েছে। অন্যান্য এলাকাতে ভাঙন ঠেকাতে একই চেষ্টা চলছে।’

এ সময় বন্যার মতো দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে সবাইকে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান তিনি।

বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত কোলকোন্দ ও লক্ষিটারী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙা। এসময় প্রতিমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়াসহ দ্রুত ব্রিজ, রাস্তাঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেরামতের আশ্বাস দেন।

পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙার সাথে রংপুরের জেলা প্রশাসক এনামুল হাবীব, গঙ্গাচড়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শামছুল আলম, লক্ষীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদিসহ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও স্থানীয় জাপা নেতারা সঙ্গে ছিলেন।

এদিকে গেল কয়েকদিনের বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ডুবে আছে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী ইউনিয়নগুলো। তিস্তার পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার কোলকোন্দ, মর্ণেয়া, আলবিদিতর, লোহানী, লক্ষিটারী, গজঘণ্টা ও সদর ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে পানিবন্দী অনেক পরিবার পার্শ্ববর্তী এলাকা ও বাঁধগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।



লক্ষীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদি জানান, পানিবন্দী মানুষের সাহায্যে এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো ত্রাণ পৌঁছেনি। তবে বিভিন্ন জায়গা থেকে ত্রাণ সহায়তার আশ্বাস পেয়েছেন।

তিনি জানান, পানিবন্দী লোকজন তাদের গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়ে বিপাকে পড়েছে। পানির নিচে ডুবে গেছে হাজার হাজার একর ফসলি জমি। এখন চারদিকে শুধু পানি আর পানি। রাস্তাঘাট সব পানিতে ডুবে আছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে কিছু কিছু এলাকায় পানি বেড়েছে। এতে তিস্তার আশপাশের এলাকাসহ নীলফামারী, লালমনিরহাটের বিভিন্ন এলাকা বন্যায় প্লাবিত হবার আশঙ্কা রয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর