রংপুরের পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার বলেছেন, ‘সংশোধনের পথে থেকে আর ভুল করা যাবে না। আজকে যাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিলাম। তাদের কোনো অপরাধে জড়ানো যাবে না। যদি আপনাদের পরিবর্তন না হয়, যে হাতে ফুল তুলে দিলাম, সেই হাতে হাতকড়া পড়বে।’
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রংপুর সদর কোতয়ালী থানায় আত্মসমর্পণ করা মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। এতে প্রায় দুই নারীসহ প্রায় দেড়শ জন আত্মসমর্পণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসপি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, রংপুরকে মাদকমুক্ত করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়নে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। শুধু মাদক নয়, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন, নিপীড়নসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দমনে পুলিশের ভূমিকা থাকবে জিরো টলারেন্স।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, দেশের জন্য যারা যুদ্ধ করেছেন, তাদের প্রতি শুধু কৃতজ্ঞতা জানালে হবে না। একাত্তরের মুক্তিকামী মানুষের সংগ্রামের ফসল আমাদের আজকের স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর ডাকে ঐক্যবদ্ধ হয়েই মুক্তিযোদ্ধার দেশ স্বাধীন করেছেন। তাদের জন্য আমরা আজ স্বাধীন, গর্বিত, উন্নত।
রংপুর জেলা পুলিশ আয়োজিত ‘আলোর পথে ফেরা’ (পর্ব-২) আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে রংপুর সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের দুইজন নারীসহ ১৪১ জন মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করেন। এরমধ্যে মমিনপুর ইউনিয়নের ১৫ জন, হরিদেবপুরের ২৩, চন্দনপাটের ৪০ এবং সদ্যপুষ্করণী ইউনিয়নের ৬৩ জন রয়েছেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও রংপুর জেলা পরিষদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম প্রামাণিক প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন সদর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম সাজিদুল ইসলাম।
এরআগে বিকেলে কোতয়ালী থানার ভেতরে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধকালীন আত্মজীবনী সম্বলিত পাণ্ডুলিপি হেল্প ডেস্কের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম (বার), পিপিএম।
এসময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর কোতয়ালী থানার ওসি তদন্ত জাকির হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কবির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম, সদ্যপুষ্করণী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী সোহেল রানা, চন্দনপাট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান, হরিদেবপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন ও মমিনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুলতানা আখতার কল্পনা।