পাবনা: বেড়া উপজেলার সোনাপদ্মা গ্রামে মা-ছেলেসহ একই পরিবারের তিনজনকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন আসামি বড় ছেলে তুহিন শেখকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় পাবনা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি তদন্ত দল গতকাল শুক্রবার খুলনার ফুলতলা উপজেলার বেজেরডাঙ্গা গ্রামের জনৈক ফেরদৌস মেম্বারের বাড়ি থেকে তুহিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মা, খালা ও ছোট ভাইকে নিজ হাতে হত্যার কথা স্বীকার করেন তুহিন। পরে পাবনার আমলি আদালত-৩ এর বিজ্ঞ বিচারক আব্দুল মমিনের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।
স্বীকারোক্তিতে হত্যার কারণ সম্পর্কে তুহিন পুলিশকে জানিয়েছে, ৯ মাস আগে ভালোবেসে পরিবারের অমতে রুনা খাতুনকে বিয়ে করে তিনি। বিয়ের পর থেকে তাদের বাড়িতে থাকা খালা মরিয়ম খাতুনসহ পরিবারের লোকজন তুহিনের স্ত্রীকে মাঝে মধ্যেই তুচ্ছ বিষয় নিয়ে গালিগালাজ ও কটূক্তি করত। এ বিষয়টি নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনার দিন ভোরে তুহিন প্রথমে তার খালাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলেন এবং তদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাকে গলা কেটে হত্যা করেন। এ সময় তার মা তাসলিমা খাতুন ওরফে বুলি খাতুন, ছোট ভাই তুষার এগিয়ে গেলে তাদেরকেও গলা কেটে এবং কুপিয়ে হত্যা করেন।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (৪ জুলাই) ভোরে বেড়া উপজেলার সোনাপদ্মা গ্রামে মা বুলি খাতুন, ছোট ভাই তুষার ও খালা নছিমন খাতুনকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আর এ হত্যার অভিযোগ ওঠে পরিবারের বড় ছেলে তুহিন হোসেনের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন, পাবনায় মা-ছোটভাইসহ তিনজনকে কুপিয়ে হত্যা