লঞ্চ-কার্গো সংঘর্ষ: ক্ষতি ৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা

বরিশাল, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,বরিশাল | 2023-08-29 01:32:33

বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ ও মালবাহী কার্গোর মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়ের প্রায় ৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

অপেক্ষাকৃত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমভি মো. দুদু মিয়া (রা.)-১ নামের কার্গোটির। কার্গোটি ১২০০ মেট্রিক টন অলিম্পিক সিমেন্ট তৈরির উপাদান (ক্লিংকার) বোঝাই ছিল, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। আর কার্গোটির মূল্য সাড়ে ৫ কোটি টাকা। কার্গো ও ক্লিংকারের মূল্য ৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এমভি শাহরুখ-২ লঞ্চ মেরামতে খরচ হবে ৩ লাখ টাকা।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বার্তা২৪.কম-কে কার্গো এবং ক্লিংকারের ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত করেছেন, প্রোমোজেন শিপিং লাইনসের ব্যবস্থাপক মো. জয়নুল আবেদিন। এ সময় তিনি বলেন, ক্লিংকার পানিতে ভিজে যাওয়ায় সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।

এছাড়া এমভি শাহরুখ-২ লঞ্চের ফাটল মেরামত করতে প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ হবে বলে বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন ওই লঞ্চের সুপারভাইজার সেলিম হোসেন মারুফ।

এদিকে লঞ্চটি নিরাপদে থাকলেও তলিয়ে যাওয়া কার্গোটি উদ্ধার নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা।

কারণ হিসেবে বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীকের কমান্ডার মো. রফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে জানান, ডুবে যাওয়া কার্গোটির মালামালসহ ওজন ১৮০০ মেট্রিক টন। পানিতে ডুবে এটির ওজন আরও বেড়েছে। আর উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীকের উদ্ধার ক্ষমতা ২৫০ মেট্রিক টন। তাই এ মুহূর্তে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করা নির্ভীকের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।

অন্যদিকে, জটিলতার বিষয়টি বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান বরাবর অবহিত করা হয়েছে। দ্রুতই কার্গোটি উদ্ধার করার আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চ/ছবি: বার্তা২৪.কম 

ডুবে যাওয়া কার্গোটি দ্রুত উদ্ধার অথবা সরিয়ে না নিলে নৌ-চ্যানেলটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই এটি দ্রুত উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন নৌযান চালক ও মালিকরা।

অপরদিকে রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীকের ডুবুরিদের নদীর তলদেশে জাহাজের অবস্থান পর্যবেক্ষণ শেষে ডুবুরি রবিউল ইসলাম জানান, ডুবে যাওয়া নৌযানটি বাম দিকে কাত হয়ে আছে। এটি দ্রুত উদ্ধার করা না হলে পলি পড়ে আরও আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফলে উদ্ধারকাজ আরও কঠিন হয়ে যাবে। তাই ডুবে যাওয়া নৌযানটি দ্রুত উদ্ধার না করা হলে নৌপথ বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এমভি শাহরুখ-২ লঞ্চটি প্রায় ৩৫০ জন যাত্রী নিয়ে বরগুনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বরিশাল নদীবন্দর সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর মাঝখান দিয়ে যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম থেকে আসা এমভি মো. দুদু মিয়া (রা.)-১ কার্গোর সঙ্গে লঞ্চটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে লঞ্চটি সামনের অংশের তলা ফেটে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সিমেন্ট তৈরির ১২০০ মেট্রিক টন ক্লিংকারবাহী কার্গোটি নদীতে ডুবে যায়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর