৩০ শতাংশ লোক হার্টের অসুখে মারা যায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম ,ঢাকা | 2023-08-24 04:39:47

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘দেশে প্রায় ৮ থেকে ৯ লাখ অর্থাৎ ৬৫ শতাংশ মানুষ মারা যান নন-কমিউনিকেবল ডিজিজে। আর হার্টের অসুখ নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ এর মধ্যে অন্যতম। এই ৬৫ শতাংশের মধ্যে ৩০ শতাংশ লোক হার্টের অসুখের কারণে মারা যান।’

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ট্রান্স ফ্যাট নির্মূল করি, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়’ শীর্ষক আলোচনা ও অ্যাডভোকেসি ক্যাম্পেইন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ এর মধ্যে হার্টের অসুখ মানুষের বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ খাদ্যে ট্রান্স ফ্যাট থাকা। এর বাইরে ধূমপান, খাবারে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া, ব্লাড প্রেসার, কায়িক পরিশ্রম কম করা ও পরিবেশ দূষিত হচ্ছে সেটিও একটি কারণ । ব্লাডে কোলেস্টেরল থাকার কারণেও হার্টের অসুখ বাড়ছে।

হার্টের অসুখ দূর করার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সর্বোপরি আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে কোন কোন খাদ্যে ট্রান্স ফ্যাট থাকে।যেসব খাদ্যে এই ট্রান্স ফ্যাট থাকে সেসব খাবার পরিহার করতে হবে এবং কোন খাদ্যে ট্রান্স ফ্যাট নেই সেই খাবার মানুষ গ্রহণ করবে তা জানাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, তবে শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একার পক্ষে এটি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয় ।এর সঙ্গে খাদ্য, কৃষি ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় জড়িত তাই সকলের সমন্বয়ে এটি মোকাবিলা করতে হবে।

স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য খাতে চরম উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে প্রাইমারি হেলথ কেয়ার স্বাস্থ্যখাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিভিন্ন জেলা, উপজেলার হাসপাতালগুলোর শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। কিছুদিন আগেই ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

জাহিদ মালেক বলেন, তাছাড়াও আটটি বিভাগে কিডনি হাসপাতাল করা হবে। এছাড়া একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা হার্টের ও ক্যানসার চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে।

এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত বলেন, হার্টের জন্য ট্রান্স ফ্যাট অনেকাংশেই ঝুঁকি বাড়ায়। এ বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। আমরা আশা করছি ২০২৩ সালের মধ্যেই ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ ২ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বাংলাদেশ।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, আমদানির ওপর যদি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। অর্থাৎ ট্রান্স ফ্যাট যুক্ত পণ্য যদি আমদানি করা না যায় তাহলে এর ব্যবহার কমে আসবে। তাছাড়া পণ্য আমদানির সময় কি পরিমাণ ট্রান্স ফ্যাট আছে তা ওই পণ্যের গায়ে যদি উল্লেখ থাকে সেক্ষেত্রেও কমে আসবে ট্রান্স ফ্যাটের ব্যবহার । তবে এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ পলিসি মেকারদের নজর দিতে হবে।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে ট্রান্স ফ্যাট নির্মূলে কমে যাবে হৃদরোগের মৃত্যুঝুঁকি এর অ্যাডভোকেসি ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করা হয়।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার অবসরপ্রাপ্ত আব্দুল মালিক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিচালক সৈয়দা সারোয়ার জাহান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. এ. এইচ. এম এনায়েত হোসেন সহ আরও অনেকে ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর