১৯৭১-এর লাল সবুজের সূর্যটা যারা আমাদের করে দিয়েছিলেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন হাজারো মানুষ। কেউবা দুপায়ে হেঁটে আবার কেউবা এসেছেন হুইলচেয়ারে চড়ে। ৭ মাসের শিশু সন্তানকে কোলে করে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন কামরুন্নাহার শম্পা। কাজ করেন সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্থদের পুনর্বাসন কেন্দ্র বা সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অফ দ্য প্যারালাইজ্ড ( সিআরপি) কেন্দ্রে।
কামরুন্নাহার শম্পা বার্তা২৪. কমকে বলেন, 'একাত্তর এ যারা নিজেদের জীবনের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এসেছি। আমি সাথে করে আমার সন্তানকে এনেছি তাকেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে চাই। দেশের হয়ে যেন কাজ করতে পারে সেই শিক্ষা তাকে দিতে চাই।'
সিআরপির উদ্যোগে প্রতিবছর স্মৃতিসৌধে আনা হয় পক্ষাঘাতগ্রস্থ এসব ব্যক্তিদের। তবে এর মধ্যে অধিকাংশই শিশু বলে বার্তা২৪.কমকে জানান সিআরপির সমাজকল্যাণ বিভাগের কর্মকর্তা সফিউল্লাহ।
সফিউল্লাহ বলেন, 'বাংলাদেশের স্বাধীনতা যারা এনেছেন আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। এসব শিশুদেরকে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বড় করতে চাই। আমরা চাই তাদের মধ্যে দেশ প্রেম জাগ্রত হোক দেশের জন্য কাজ করুক আর এজন্যই এখানে আনা।'
এর আগে ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে শহীদদের প্রতি প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়ার পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় করুণ সুর বেজে ওঠে বিউগলে। সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার দেন।
এরপর প্রধান বিচারপতি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। তারা শ্রদ্ধা জানানোর পর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের জন্য স্মৃতিসৌধ খুলে দেওয়া হয়।