বোরো চাল নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা, সংগ্রহ অভিযান বন্ধ 

, জাতীয়

কান্ট্রি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-25 12:40:56

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: জেলার আশুগঞ্জে সরকারি খাদ্যগুদামে চাল রাখার জায়গা নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে বোরো চাল নিয়ে বিপাকে পড়েছে চাতালকল মালিক ও ব্যবসায়ীরা। চালভর্তি অসংখ্য ট্রাক খাদ্যগুদাম এলাকায় চাল দিতে না পেরে আটকা পড়েছে। খাদ্যগুদামে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বোরো চাল সংগ্রহ অভিযান আপাতত বন্ধ রয়েছে। 
 
কিন্তু দ্রুত সমস্যার সমাধানে গুদাম কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো কার্যক্রম লক্ষ্য করা যাচ্ছে না বলে দাবি করেছে ব্যবসায়ীরা। ফলে খাদ্যগুদামে চাল দিতে না পেরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে তারা। তবে গুদাম কর্তৃপক্ষ বলছে শিগগিরই গুদাম খালি করে অবস্থার পরিবর্তন করা হবে। 
 
আশুগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে আশুগঞ্জে সরকারিভাবে ১৯ হাজার ১৭৭ টন সিদ্ধ ও তিন হাজার ৮৭৬ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৩ মে থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত আতপ ও সিদ্ধ মিলিয়ে ১১ হাজার টন চাল সংগ্রহ করে আশুগঞ্জ খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গুদামটির ধারণক্ষমতা রয়েছে আড়াই হাজার মেট্রিকটন। তাই সরকার অর্জিত লক্ষ্যমাত্রার চাল গুদামে রাখার পর আর অবশিষ্ট জায়গা না থাকায় প্রায় এক সপ্তাহ যাবৎ নতুন করে চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। আর এতে করে চাল নিয়ে বিপাকে পড়েছে চাতাল ব্যবসায়ী ও ট্রাক মালিকরা। দিনের পর দিন এভাবে চাল নিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। পাশাপাশি গুদামের চাল অন্যত্র সরিয়ে দ্রুত এই অবস্থার অবসান চান চাতাল ব্যবসায়ীরা। 
 
চাতাল মালিক কামরুজ্জামান রিপন জানান, গুদামে চাল রাখার জায়গা নেই। জায়গার অভাবে বোরো চাল সংগ্রহ প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হচ্ছে। চাল রাখার দ্রুত কোনো ব্যবস্থা না করা হলে আশুগঞ্জের চাতাল ব্যবসায়ীরা পথে বসবেন। 
 
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা চাতাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, ‘অতি তাড়াতাড়ি গুদামের চাল অন্যত্র সরিয়ে আমাদের চাল নেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। চাল নিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে আমাদের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।’
 
আশুগঞ্জ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, বর্তমানে গুদামটির ধারণক্ষমতা আড়াই হাজার টন হলেও তিন হাজার টন পর্যন্ত কোনো ভাবে নেয়া যায়। অবস্থার পরিবর্তনের জন্য গুদাম খালি করা হচ্ছে। গুদাম খালি করে ডেসপাসের গাড়ি দিয়ে এসব চাল বিভিন্ন এলাকার খাদ্যগুদামে পাঠানো হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। 
 
জেলা খাদ্য কর্মকর্তা সুবীর নাথ চৌধুরী জানান, সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে। কয়েকদিনের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এজন্য চাতাল ব্যবসায়ীদের ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন তিনি।
 

এ সম্পর্কিত আরও খবর