রাজাকারের তালিকা স্থগিত নয়, বাতিলের দাবি জানাল বাসদ

বরিশাল, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল | 2023-08-26 09:07:24

মুক্তিযোদ্ধাদের যুক্ত করে আলাদা কমিশন গঠন করে রাজাকারের তালিকা প্রস্তুত, সদ্য প্রকাশিত তালিকা স্থগিত নয়, বাতিল এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের পদত্যাগ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) বরিশাল জেলা শাখা।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় জেলা বাসদের ফকিরবাড়ি রোডের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা বাসদের সদস্যসচিব ডাক্তার মনীষা চক্রবর্তী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সম্প্রতি প্রকাশিত রাজাকারের তালিকাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও অপমানজনক। কারণ এতে এমন সব ব্যক্তির নাম এসেছে, যারা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, লড়াই করেছেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে। কেউ কেউ মুক্তিযুদ্ধে সংগঠকের ভূমিকা পালন করেছেন। এমনকি শহীদ পরিবারের সদস্যদের নামও রয়েছে তালিকায়। অথচ এতে নেই চিহ্নিত অনেক রাজাকারের নাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সদ্য ঘোষিত রাজাকারের তালিকা স্থগিত করলেই সব সমস্যার সমাধান হবে না। এটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে আমরা মন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করছি। যদি তিনি পদত্যাগ না করেন তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, দলীয় ও আমলা নির্ভর মন্ত্রণালয়টি থেকে আবারও রাজাকারের তালিকা প্রণয়ন করলে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের নাম আসতে পারে। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের যুক্ত করে আলাদা কমিশন গঠনের মাধ্যমে রাজাকারের তালিকা ফের প্রস্তুত করতে হবে। পাশাপাশি রাজাকারের তালিকা তৈরির সঙ্গে যুক্তদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে মনীষা চক্রবর্তী বলেন, স্বরাষ্ট্র ও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের অবহেলা এবং ব্যর্থতায় রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের নাম এসেছে। রাজাকারদের তালিকা তৈরি করতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে ৬০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। সে টাকার হিসাব জনসম্মুখে প্রকাশ করারও দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা বাসদের আহ্বায়ক ইমরান হাবিব রুমন, বরিশাল রিকশা-ভ্যান শ্রমিক চালক ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল মল্লিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিজয় দিবসের আগের দিন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ১০ হাজার ৭৮৯ জন ‘স্বাধীনতাবিরোধীর’ ওই তালিকা প্রকাশ করে।

গত ১৫ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ১০ হাজার ৭৮৯ জন ‘স্বাধীনতাবিরোধীর’ তালিকা প্রকাশ করে। তালিকায় গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নাম আসায় তালিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা তৈরি হয়। সমালোচনার মুখে গত ১৮ ডিসেম্বর বিতর্কিত ওই তালিকাটি স্থগিত করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর