দুই সিটির ভোটে ঋণখেলাপিদের তথ্য চায় ইসি

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-25 16:58:13

আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনকে সামনে রেখে ঋণখেলাপিদের তথ্য দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের শেষ দিন কিংবা তার আগেই ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তথ্য সরবরাহ করতে হবে। একই সঙ্গে প্রয়োজনে ব্যাংক কর্মকর্তা/প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসদুল ইসলামকে একটি ডিও লেটার (আধা সরকারি পত্র) পাঠিয়ে নির্দেশনাটি বাস্তবায়ন করতে বলেছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘আগামী ৩০ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এই নির্বাচন পরিচালনার জন্য রিটার্নিং অফিসার এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ এবং আপিল নিষ্পত্তির জন্য বিভাগীয় কমিশনার, সংশ্লিষ্ট বিভাগকে আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।’

'স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) ধারার বিধান অনুসারে ঋণ খেলাপিরা মেয়র বা কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য অযোগ্য হবেন। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০-এর ১৫ বিধি অনুসারে রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে কোনো প্রার্থী বা কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখের ৩ দিনের মধ্যে আপিল কর্তৃপক্ষের নিকট আপিল করতে পারবেন।’

‘আইনের বিধান বলে ঋণ খেলাপি ব্যক্তিরা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না এবং নির্বাচনে ঋণ খেলাপি ব্যক্তিদেরকে যাতে নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা যায় তার জন্য আইনে নির্ধারিত সকল ব্যাংক হতে এ সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করা আবশ্যক।’

‘ইতোপূর্বে অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ঋণ খেলাপিদের তথ্য সংরক্ষণ ও সরবরাহের বিষয়ে অর্থ বিভাগ হতে পরিপত্র জারি করা হয়েছিল। তাছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোও (সিআইবি) হতে সরাসরি রিটার্নিং অফিসারের নিকট ঋণ খেলাপি ব্যক্তিগণের তথ্য সরবরাহ করা হয়েছিল। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতেও তথ্য সরবরাহ করা হয়েছিল।’

‘আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৯ অনুসারে একটি পরিপত্র জারি করা প্রয়োজন। উক্ত পরিপত্রে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইনে উল্লিখিত সর্বশেষ খেলাপিঋণ সংক্রান্ত বিধানের প্রতিফলন প্রয়োজন।

উক্ত পরিপত্রের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখ বিকাল ৫টার পর রিটার্নিং অফিসারের নিকট থেকে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের নাম, পিতা/মাতা/স্বামীর নাম ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্বদ্যোগে সংগ্রহ করার নির্দেশনা প্রদান করা প্রয়োজন এবং সে আলোকে বিভিন্ন ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে ঋণ খেলাপি ব্যক্তিগণের খেলাপিঋণ সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করা প্রয়োজন।’

পরিপত্র জারিসহ ঋণ খেলাপিগণের তথ্য মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের শেষ দিন কিংবা তৎপূর্বে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে প্রদান এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণকে মনোনয়নপত্র পত্র যাচাইয়ের সময় রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে উপস্থিত থাকার জন্যও ডিও লেটারে বলা হয়েছে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ৩১ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ জানুয়ারি, প্রতীক বরাদ্দ হবে ১০ জানুয়ারি। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জানুয়ারি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর