প্রাথমিক বিদ্যালয় দফতরিদের অবস্থান কর্মসূচি

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-21 23:14:40

চাকরি জাতীয়করণসহ সার্বক্ষণিক ডিউটি বাদ দিয়ে ৮ ঘণ্টা কর্মদিবস নির্ধারণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি কাম প্রহরী পদের কর্মীরা।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়।‌

অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, দেশের প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দফতরি কাম প্রহরী পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ প্রদানের অংশ হিসেবে প্রায় ৩৭ হাজার মানুষকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগের পর থেকেই দাফতরিক কাজ ও রাতের প্রহরী দায়িত্ব নিষ্ঠা ও সততার সাথে পালন করলেও আমরা ন্যায্য বেতন ভাতা থেকে বঞ্চিত। আমাদেরকে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করতে হয়। নেই কোনো নৈমিত্তিক ছুটি। এই নানাবিধ সমস্যা নিয়ে আমরা চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ২০১৭ সালে উচ্চ আদালতে একটি রিট পিটিশন দায়ের করি। ২০১৯ সালে পিটিশনের রায় ঘোষণা হয় এবং আদালত ২৪ ঘণ্টার পরিবর্তে ৮ ঘণ্টা কর্মদিবস নির্ধারণ করতে বলেন।

বক্তারা আরও বলেন, এই ঘটনার এক বছর পার হতে চললেও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কোনো কিছু জানানো হয়নি। তাই আমরা আমাদের পাঁচ দফা দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছি।

বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মচারী কেন্দ্রীয় কল্যাণ সমিতির সভাপতি সাধন কান্ত বলেন, ২০১৩ সাল থেকে আমরা যোগদানের পর থেকে কোনো ছুটি পাচ্ছি না। আমাদের পদ হচ্ছে দফতরি কাম প্রহরী। কিন্তু উপজেলা শিক্ষা অফিসার, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমাদেরকে নৈশ প্রহরী হিসেবে আখ্যা দিচ্ছে। তাই ২০১৭ সালে আমরা হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করি। আদালতে সেই রিটের রায় ঘোষণা হয় আমাদেরকে ২৪ ঘণ্টার পরিবর্তে ৮ ঘণ্টা কর্মদিবস নির্ধারণ করার জন্য।

তিনি আরও বলেন, দফতরি কাম প্রহরী পদে নৈশ শব্দ উল্লেখ। তাই কোনো শিক্ষা অধিদফতর থেকে এইটার ব্যাখ্যা করা হয়েছে— দিনের বেলায় দফতরি কাজ এবং গার্ডের কাজ করা। যেহেতু নৈশ শব্দটা নাই, তাই রাতের বেলার কাজটা আমাদের না। কিন্তু তারপরও আমাদেরকে ২৪ ঘণ্টায় খাটানো হচ্ছে। এছাড়া আমাদেরকে ২০তম গ্রেডে রেখে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে বেতন দিচ্ছে। আমাদের বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট নাই।

তাদের দাবিগুলো হলো- দফতরি কাম প্রহরীদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা, আদালতের রায় বাস্তবায়ন করা, আইন অনুযায়ী কর্মঘন্টা নির্ধারণ করা, বেতন বৈষম্য দূর করা এবং নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করা।

অবস্থান কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত প্রায় দেড় হাজারের বেশি দফতরি কাম প্রহরী অংশ নিয়েছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর