সরকার কায়েম করতে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-24 18:13:59

জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, জনগণের সরকার, মুক্তিযুদ্ধে সরকার, জাতীয় সরকার যদি কায়েম করতে হয় তাহলে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে। যত বড় দলেই হোন না কেন একক ভাবে কেউ বাংলাদেশকে জনগণের সরকার উপহার দিতে পারবেন না।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা যেখানে যাই জনগণ বলে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। আমরা এদেরকে বিদায় করব। এই ডাকাতদের রাষ্ট্র ক্ষমতা থেকে বিদায় করতে হবে। জনগণের ও স্বাধীনতার সরকার কায়েম করতে হবে। এরা রাষ্ট্রযন্ত্র দিয়ে ভোট ডাকাতি করে। সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। লক্ষ লক্ষ শহীদের সাথে বেইমানি করে মা বোনের সম্ভ্রমের সাথে বেইমানি করে স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। এদেরকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করতে হবে।

আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে রব বলেন, এই চোরেরা বলে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত করতে হবে। আমাদের কর্মীরা যখন ৭১ সালে স্লোগান দিচ্ছিল "বীর বাঙালি অস্ত্র ধর বাংলাদেশ স্বাধীন কর" তখন তারা আমাদের কর্মীদের শারীরিক নির্যাতন করেছে। মারধর করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায়।

জেএসডি সভাপতি বলেন, যে চুরি করে তাকে বলে চোর, যে ডাকাতি করে তাকে বলে ডাকাত। যখন চোর ধরা পড়ে তখন গ্রামের মানুষ কি করে? মানুষ ঘেরাও করে চোর ধরে, ডাকার ধরে। তারা সারা বাংলাদেশের ভোট চুরি করেছে। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ডাকাতদের ধরতে হবে। ভোট ডাকাতি করা রাষ্ট্রদ্রোহিতা। এখানে অনেক আইনজীবী আছেন তাদেরকে বলব, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। একটাও মামলা হয় নাই। জনগণের ভোট ডাকাতি করা সংবিধান বিরোধী কাজ। যারা ডাকাতি করেছে তাদেরকে সবাই চিনেন। তাদেরকে চিহ্নিত করেন, রাস্তাঘাটে পথে-প্রান্তরে বলেন, এই চোর যায়, ডাকাত যায়। বলবেন, চোর-চোর ,ডাকাত-ডাকাত ধর ধর।

বিক্ষোভ সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ডক্টর জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর