জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার সারাদেশে জেএসসি-জেডিসিতে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। গত বছর এ হার ছিল ৮৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এই হিসেবে গতবারের চেয়ে এবার বেড়েছে ২.০৭ শতাংশ।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে ফলাফল তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এসময় পাশে ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
এ বছর জেএসসিতে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ। গত বছর এ হার ছিল ৮৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। জেডিসির পাসের হার ৮৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ। গত বছর এ হার ছিল ৮৯ দশমিক ০৪ শতাংশ।
এছাড়া জেএসসি-জেডিসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৮ হাজার ৪২৯ জন শিক্ষার্থী। গতবছর এ সংখ্যা ছিল ৬৮ হাজার ৯৫ জন। এবার জিপিএ-৫ বেড়েছে ১০ হাজার ৩৩৪ জন।
এর আগে গণভবনে সকাল সোয়া ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। এরপর বিভিন্ন মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সমাপনী পরীক্ষা শিশুদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। আমরা দেখছি এখন রেজাল্টও ভালো হচ্ছে। খেলাধুলার দিকে আমরা নজর দিচ্ছি। ছেলে মেয়েরা এখন খেলাধুলার দিকেও ভালো এগিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চা, ইতিহাসকে জানা, দেশ সম্পর্কে জানা, বিশ্বকে জানার বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। কম্পিউটার শিক্ষার দিকেও আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আজকাল শিশুরা অনেক মেধাবী, যা তারা দ্রুত শিখে ফেলে। ছোট থেকে কারিগরি শিক্ষার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিচ্ছি। শিক্ষাকে আমরা আরও উন্নত করতে চাই। সে দিকেই এগোচ্ছি।’
বেলা সাড়ে ১২টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। এরপর সারাদেশে এ পরীক্ষার ফলাফল পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দুপুর ১টায় সংবাদ সম্মেলন করে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।