বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেছেন, ২০১৯ সালে ১৫ লাখ বাংলাদেশিকে ভারতীয় ভিসা দেওয়া হয়েছে। যা ভারতের জন্য একটি বড় রেকর্ড।
তিনি বলেন, এখন থেকে বাংলাদেশিদের জন্য সিকিম ভ্রমণ উন্মুক্ত হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে কাছে হিমালয়ের বরফ দেখার সুর্বণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা সেন্টারে তিনজন মুক্তিযোদ্ধার হাতে ভারতীয় ভিসাসহ পাসপোর্ট তুলে দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। ভিসাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- ড. মো. শহীদুল ইসলাম, ড. নূর মোহম্মদ মল্লিক ও মো. আতিয়ার রহমান। এ সময় হাইকমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রীভা গাঙ্গুলি বলেন, বাংলাদেশে ১৫টি ভিসা সেন্টার খোলা হয়েছে। এর সুফল আমরা দেখতে পাচ্ছি। কয়েক বছর আগে সাত থেকে আট লাখ ভিসা দেওয়া হতো। এখন তা ১৫ লাখে পৌঁছেছে। মানুষে মানুষে যোগাযোগ খুব দরকার। এ বিষয়টি এখন বেশ বেড়েছে। আমরা এখন অত্যন্ত খুশি যে ভিসা নিয়ে কোনো কিছু বলতেই হয় না, সহজেই পেয়ে যাচ্ছে।
ঈদ বা বিয়ের সময় অনেকে ভারতে কেনাকাটা করতে যান। অনেকে ব্যবসার জন্যও যান। চিকিৎসা, ভ্রমণ, ব্যবসা, শিক্ষাসহ নানা কারণেই বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক লোক বন্ধু দেশ ভারতে যাচ্ছে। প্রতি বছর এ সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিনই ভারতীয় ভিসার জন্য মানুষের আবেদন জমা পড়ছে। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের পাঁচ বছর মেয়াদী ভিসা দেওয়া হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এক বছরে এত ভিসা এর আগে কখনই ইস্যু করা হয়নি। রেকর্ড সংখ্যক ভিসা ইস্যু করার বছর স্মরণীয় করে রাখতে এ বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ভারতীয় ভিসা সেন্টার।
ভারতীয় ভিসা প্রক্রিয়া সহজ হওয়ায় প্রতি বছরই ভারতে বাংলাদেশিদের ভ্রমণ বাড়ছে। হিসাব মতে, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ১ কোটি ৩৭ লাখ ৩০ হাজার ২৮২ বিদেশি ভারত ভ্রমণ করেছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা ছিল ২৮ লাখ ৭৬ হাজার। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ১৮ লাখ ৬৩ হাজার ২৭৮, যুক্তরাজ্যের ১৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫৪৮, কানাডার চার লাখ ৭৮ হাজার ২২৮, শ্রীলংকার চার লাখ ৫১ হাজার ৭৩৬, অস্ট্রেলিয়ার চার লাখ ৪৪ হাজার ৩৩, মালয়েশিয়ার চার লাখ ১১ হাজার ৫০, রাশিয়ার তিন লাখ ৭৭ হাজার ৮৩, চীনের তিন লাখ ৭৫ হাজার ৪৪৯ এবং জার্মানির তিন লাখ ৬০ হাজার ৮৪৩ নাগরিক ভারত ভ্রমণ করেন।
ভারতে মোট বিদেশি পর্যটকের ৬৫ দশমিক ৬১ শতাংশ বাংলাদেশি। ভারতে ভ্রমণকারী বিদেশিদের সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ শীর্ষে আসে ২০১৫ সালে। এর আগে ২০১৪ সালে দ্বিতীয় এবং ২০১৩ ও ২০১২ সালে তৃতীয় অবস্থানে ছিল।