রংপুরে শীতের তীব্রতায় আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে গত ১১ দিনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জন নারী ও ১ জন শিশু রয়েছে। এছাড়া দগ্ধ হয়েছে ২৬ জন।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড সার্জারি ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান এম এ হামিদ পলাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আজ মঙ্গলবার ভোর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোকেয়া বেগম নামে আগুনে দগ্ধ এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। গত ৩ দিন আগে রংপুর মহানগরীর পশারীপাড়া এলাকায় আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হন তিনি। তার শরীরের অর্ধেকেরও বেশি অংশ পুড়ে গিয়েছিল।
এদিকে রমেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড সার্জারি ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১১ দিনে ৫ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
সূত্র জানায়, গত ২৮ ডিসেম্বর দুপুরে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় আগুনে দগ্ধ হয়ে রোজিনা বেগম নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এর আগে ২৬ ডিসেম্বর শিশু সাদিয়া ও আলম মিয়া নামে দুইজন মারা যান। এদের একজন গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ ও আরেকজন একই জেলার সাদুল্লাপুরের বাসিন্দা।
এছাড়াও ২০ ডিসেম্বর রাতে ঠাকুরগাঁও জেলার ফাতেমা বেগম (৭০) দগ্ধ হয়ে রমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
রমেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড সার্জারি ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান এম এ হামিদ পলাশ বার্তা২৪.কমকে জানান, রাতে শীতের তীব্রতায় উষ্ণতা পেতে আগুন পোহাতে গিয়ে অসতর্কতার কারণে দগ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটছে। গত ১১ দিনে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মোট ২৬ জন দগ্ধ রোগী ভর্তি হয়। এর মধ্যে এক শিশুসহ ৫ জন নারী মারা গেছে।
আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে বর্তমানে রমেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড সার্জারি বিভাগে ১৭ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।