লিবিয়া চিকিৎসক চায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নারাজি

, জাতীয়

খুররম জামান,স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 22:43:25

যুদ্ধবিদ্ধস্ত লিবিয়া বাংলাদেশ থেকে  চিকিৎসক ও নার্স নিতে চায়। বেশ কয়েকশ ডাক্তার ও নার্সের চাহিদা (ডিমান্ড নোট) জানিয়ে লিবিয়ার বর্তমান সরকার সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে। সে চাহিদা মতাবেক ডাক্তার ও নার্স লিবিয়ায় পাঠানোর বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশে ডাক্তার ও নার্সের সংকট রয়েছে। তাই এ পেশায় জনশক্তি দিতে তারা এখনও তৈরি নয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আফ্রিকা উইং এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) বার্তা২৪.কমকে এমন তথ্য জানিয়েছেন।

কর্মকর্তা জানান, শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চাচ্ছে না লিবিয়ায় ডাক্তার ও নার্স যাক। কারণ এখন সেখানে একটি সরকার আছে ঠিকই কিন্তু তার হাতে কতটুকু লিবিয়ার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সে নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি হাসপাতালগুলোতে বেতন-ভাতা দেওয়ার বিষয়ে গড়িমসি করা হচ্ছে। দুই তিন মাসের বেতন একমাসে দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া দেশে এ দুটি পেশায় কর্মরতরা যত আয় করতে পারে লিবিয়ায় তার চেয়ে খুব বেশি দেওয়া হচ্ছে না।

তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় হুমকি নিরাপত্তা। যে কোনো সময় বড় গোলমাল লেগে গেলে বেতনতো দূরের কথা জীবন বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে। কয়েক বছর আগে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ বিস্তারলাভ করলে প্রায় ৪০ হাজার বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হয়েছিল।

গৃহযুদ্ধের কারণে প্রায় মৃত্যুপুরী হয়ে ওঠা লিবিয়ায় কর্মী পাঠানোর পাঁয়তারা  সব সমসময় করে একশ্রেণির জনশক্তি রপ্তানিকারক। তাদের কাছে এ চাহিদার খবরও অজানা থাকে না।

তারা বলে থাকে লিবিয়ার পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক। বক্তব্য-বিবৃতি দেন কিছু ব্যবসায়ী। সেখান থেকে ইউরোপ যাওয়ার সুযোগ রয়েছে বলেও প্রলোভন দেখানো হয়। তবে লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

ডাক্তার ও নার্স পাঠানোর এখনও সঠিক গন্তব্য নয় এটি। তবে স্ব-ইচ্ছায় পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে যে কেউ তার পেশা বেছে নিতে পারে। কিন্তু বিপদসংকুল এলাকায় নয়। কারণ বিদেশে বিপদে পড়লে নিজে ছাড়াও দেশ, জাতি, সরকার, আত্মীয়  সকলেরই সংকট সৃষ্টি হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর