স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে লেখা 'নন্দিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান' সম্মাননা গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) আ কা মু গিয়াসউদ্দীন মিলকী অডিটোরিয়াম কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন ফার্মগেটে এ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব হয়।
গ্রন্থে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাল্যকাল, পড়াশোনা, মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি নিয়ে লেখা হয়েছে। গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন ডিআইজি হাবিবুর রহমান। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেছেন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি তখন চট্টগ্রামের ডিআইজি ছিলাম। জঙ্গি বিরোধী অভিযানে সারারাত সীতাকুণ্ডে। রাত অনুমানিক ১টার সময় স্যার ফোন করে বললেন, অভিযানের কী অবস্থা। আমি বললাম ২২ জন জিম্মি আছেন। স্যার বললেন সকালে অভিযানে যান। আমি সকালে অভিযানে যাবার আগে স্যারকে ফোন করলাম। স্যার আমার বাবার মতো করে বললেন, সাবধানে থাকবেন, নিজের জীবনের খেয়াল রাখবেন। এটাই আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আমি স্যারের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছি। উনার সঙ্গে অনেক স্মৃতি আছে আমার। তিনি শুধু রাজনীতিবিদ হিসেবে নন। প্রশাসক হিসেবেও ছিলেন অদ্বিতীয়। বাংলাদেশে ইতিহাসে স্বরাষ্টমন্ত্রী নেতিবাচক সমালোচনা হয়নি এমন নেই। তবে তিনি ব্যতিক্রম। তবে তার একটা দুর্বল জায়গা হল, তিনি প্রচার বিমুখ।
র্যাবের ডিজি বেনজীর আহমেদ বলেন, ৬৯ বয়সের এ মানুষ সর্ম্পকে আমি ৬৯ মিনিটেও বলে শেষ করতে পারবো না। তিনি এত বিনম্র মানুষ, অসীম ধৈয্যের অধিকারী, এটা অভূতপূর্ব। তার মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা আমাকে বেশি আকর্ষণ করে। বনদস্যুদের নিয়ে কাজ করতে ৩২ বার তাকে আমি সুন্দরবন নিয়ে গেছি। বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেখানে কোনো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে ৮ জন জঙ্গি আত্মসর্মপণ করেছেন।
আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারি বলেন, স্যারকে যতই দেখছি ততই সুগদ্ধ হচ্ছি, যতই দেখছি ততই বিস্মৃত হচ্ছি। আমার সবচেয়ে অবাক লাগে তিনি একটা মানুষ যে সবার ফোন ধরেন। তাও আবার এক কলে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, পুলিশ প্রধান জাবেদ পাটোয়ারী, র্যাব ডিজি বেনজির আহমেদ, পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলামসহ প্রমুখ।