তিন সিটি নির্বাচন: আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে ইসি

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-14 06:33:39

ঢাকা: রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের ছক চূড়ান্ত করতে বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) বেলা ১১টায় তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসেছে ইসি। পুলিশের আইজি, র‌্যাবের ডিজি, বিজিবি, আনসার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন। নির্বাচন কমিশনাররা ছাড়াও তিন সিটির রিটার্নিং অফিসার ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন-পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন।

বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে,ভোটের আগের দুই দিন থেকে ভোটের পরদিন পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করার পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। ওই তিন সিটিতে দলীয় প্রতীকে প্রথম ভোট হওয়ায় বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে অধিক সংখ্যক পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ন আনসার, র‌্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হবে।

ইসি নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম সচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ আহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় বলা হয়, তিন সিটি করপোরেশন  নির্বাচনে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ২২ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ২৪ জন নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন রাখা যেতে পারে। এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল ফোর্স এবং প্রতিটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে র‌্যাবের টিম এবং বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হবে। রাজশাহীতে ১৫ প্লাটুন , বরিশালে ১৫ প্লাটুন, সিলটে ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করার পরিকল্পনা নিয়েছে ইসি।

মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটের দুইদিন আগে, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে একদিন মিলিয়ে মোট চার দিন মাঠে থাকবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে র‌্যাব-পুলিশের টিম ও কয়েক প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে সংরক্ষিত রাখার সুপারিশও করেছে ইসি সচিবালয়।

এছাড়া প্রচারণা শুরু হলে প্রতি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী হাকিম মাঠে থাকবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নামার পর তাদের নেতৃত্বেও থাকবে নির্বাহী হাকিম। এ সময় তিনটি ওয়ার্ডের জন্য একজন করে বিচারিক হাকিমও নিয়োগ করবে ইসি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর