মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে সারাদেশে কনসার্টের উদ্যোগ নিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের সঙ্গে আছে ‘চ্যানেল লাইভ এন্টারটেইনমেন্ট’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। প্রথম কনসার্টটি অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাতে অনুষ্ঠিত কনসার্টের আয়োজনেও ছিল অব্যবস্থাপনায় ভরপুর। যাতে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে দর্শকদের। কনসার্টটি শুরু হবার কথা ছিলো বিকাল সাড়ে ৪টায়। দুপুর ২টা থেকে দর্শকদের প্রবেশ করানো হয়। অথচ নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা পর সাড়ে ৬টায় শুরু হয় কনসার্ট। অভিযোগ উঠেছে- কনসার্টে আমন্ত্রিত সাংবাদিকদের সাথেও করা হয়েছে দুর্ব্যবহার।
এদিকে কনসার্টে টিকিট কিনে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ করেছেন দর্শকরা। ইমরান, কণা আর মিলার মতো জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পীদের আগমনের খবর দিয়ে টিকিট বিক্রি করা হলেও তারা আসেননি। তবে চিত্রনায়ক ফেরদৌস, নায়িকা অপু বিশ্বাস, পপি, সঙ্গীতশিল্পী পূজা, মডেল পিয়া জন্নাতুল ও কণ্ঠশিল্পী সুজন আরিফ পারফর্ম করেন। তবে তাদের সেই পারফরমেন্স দর্শক টানতে পারেনি। দর্শকরা পুরো কনসার্টকে প্রতারণার ফাঁদ বলে অভিযোগ করেছেন।
আর বেশ কয়েকজন দর্শকের অভিযোগ- মাদকবিরোধী কনসার্ট হলেও স্টেডিয়ামের ভেতরেই খোদ আয়োজকদের ধূমপান করতে দেখেছেন তারা। সব মিলিয়ে চরম অব্যবস্থাপনায় শুরু হলো মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের দেশব্যাপী মাদকবিরোধী কনসার্ট।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারি সংস্থার উদ্যোগে মাদকবিরোধী এই কনসার্টটির আয়োজন হলেও ঢোকার জন্য রাখা হয় টিকিট। মাঠে চেয়ার ২০০ টাকা। স্টেডিয়ামের গ্যালারি ১০০ টাকা। গত ক’দিন ধরেই মাইকিং করে নগরীতে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। তখন থেকেই বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।
এদিকে, উদ্বোধনী পর্বে সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ আমন্ত্রিত অধিকাংশ অতিথি উপস্থিত ছিলেন না। বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে কনসার্টের উদ্বোধন করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক নুরুজ্জামান শরীফ। অন্যদের মধ্যে অতিথি হিসেবে ছিলেন বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক জাফরুল্লাহ কাজল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শরিফুল হক, রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম প্রমুখ।
কণ্ঠশিল্পীদের না আসা এবং চলমান অব্যবস্থাপনার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. লুৎফর রহমান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।