যুক্তরাষ্ট্র দাঁতভাঙা জবাব পাবে: ঢাকাস্থ ইরানি দূতাবাস

ঢাকা, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 11:24:17

জেনারেল কাসিম সোলাইমানির ওপর বর্বরোচিত হামলা এবং তাকে শহীদ করার ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  অপরাধযজ্ঞ চালিয়েছে। এই জঘন্য অপরাধের নির্বোধ হোতারা যেন মনে রাখে যে, তারা তাদের অপরাধের দাঁতভাঙা জবাব পাবে।

রোববার ( ৫ ডিসেম্বর) ঢাকাস্থ  ইরানের দূতাবাস এ সম্পর্কে এক বিবৃতি দিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে,  ওহে বাংলাদেশের বীর জনগণ! ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ঢাকাস্থ দূতাবাস ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত ইরানের দূতাবাস ও কূটনৈতিক মিশনগুলোতে ইসলামের জন্য নিবেদিতপ্রাণ, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের নির্মূল অভিযানের অক্লান্ত সৈনিক, ইসলামের বীর সেপাহসালার শহীদ জেনারেল কাসিম সোলাইমানির বীরত্ব ও আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমাদের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। জেনারেল সোলাইমানি শুধু ইরানি জনগণের নয়; বরং তিনি বিশ্বের সকল মুসলমান এবং নিপীড়িত ও বঞ্চিত মানুষের মর্যাদা ও গর্বের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। মার্কিনিরা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ও সংঘাতের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে দিতে অত্যন্ত বর্বরোচিত হামলার মাধ্যমে ইরানের কুদস ব্রিগেডের এই স্বনামধন্য কমান্ডারকে শহীদ করেছে। তারা এই জঘন্য অপরাধের মাধ্যমে ইরাকের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে, আন্তর্জাতিক রীতি-নীতি পদদলিত করেছে এবং মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে বিনষ্ট করতে চেয়েছে। তবে এই জঘন্য অপরাধের নির্বোধ হোতারা যেন মনে রাখে যে, তারা তাদের অপরাধের দাঁতভাঙা জবাব পাবে।

জেনারেল সোলাইমানির শাহাদাতের ঘটনা আবারও এ কথা প্রমাণ করল যে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের স্বাধীনচেতা জাতিগুলোর কাছে সর্বাধিক ঘৃণ্য রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের প্রতীকে পরিণত হয়েছে। হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগনের কর্মকর্তাদের জেনে রাখা উচিত যে, গুণ্ডামি ও সীমালঙ্ঘনের যুগ শেষ হয়ে গেছে এবং যারা জেনারেল সোলাইমানির মতো স্বাধীনচেতা ব্যক্তি ও অন্য শহীদদের রক্তে নিজেদের হাত রঞ্জিত করেছে তাদের জন্য কঠিন প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে।

শহীদ জেনারেল কাসিম সোলাইমানি ইসরাইল, আলকায়দা ও আইএস জঙ্গিদের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছিলেন। তিনি ইরাক ও সিরিয়াকে আইএসের মতো রক্তপিপাসু জঙ্গিদের হাত থেকে মুক্ত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তাঁর একমাত্র অপরাধ ছিল, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের লালিত জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস নির্মূলে আপোষহীন ভূমিকা পালন করেছেন। তাই যুক্তরাষ্ট্র তাকে পথের কাঁটা মনে করেছিল। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, এই মহান শহীদের পবিত্র রক্ত প্রতিরোধ সংগ্রামকে আগের চেয়ে বেগবান করবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধংদেহী নীতিকে অকার্যকর করতে সাহায্য করবে।

জেনারেল কাসিম সোলাইমানি তার পুরো বরকতময় জীবন আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে নিবেদিত করেছেন। নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা ও সংগ্রামের জন্য শাহাদাতের উচ্চ মর্যাদা তার প্রাপ্য ছিল।

এই ঘটনায় যারা শাহাদাত বরণ করেছেন বিশেষ করে শহীদ জেনারেল সোলাইমানি ও শহীদ আবু মাহদি আল মুহান্দিসের নাম ও স্মৃতি অনন্তকাল বিশ্বের স্বাধীনচেতা মানুষের মনে অমর হয়ে থাকবে, আর এই অপরাধের যারা হোতা তারা চিরদিন ইতিহাসে ধিকৃত হয়ে থাকবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর