ফের শীতে জবুথবু রংপুর, কমেছে তাপমাত্রা

রংপুর, জাতীয়

ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর | 2023-08-27 03:07:40

গেল নভেম্বর ও ডিসেম্বরে দুই দফার মৃদু ও মাঝারি শৈত্য প্রবাহের পর নতুন বছরে ফের শুরু হয়েছে শীতের দাপট। গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরে তাপমাত্রা আরো কমেছে।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকালের চেয়ে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। রোববার এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অফিস বলছে, তৃতীয় দফায় শৈত্য প্রবাহ শুরু হয়েছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজকর্ম। ঠান্ডায় নাকাল হয়ে পড়ছে চরাঞ্চলসহ ছিন্নমূলের অসহায় মানুষেরা। শীতের এ তীব্রতা আরও বাড়তে পারে।

শীতে মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশুরাও কষ্ট পাচ্ছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

এদিকে ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীত চেপে বসেছে তিস্তা, ঘাঘট, দুধকুমার, যমুনেশ্বরী ও করতোয়া নদী বেষ্টিত রংপুরে। কনকনে শীত আর দিনভর হিমেল হাওয়া বইছে এ জনপদে। পূর্ব আকাশে সূর্যের দেখা মিললও নেই উষ্ণতা। এতে জনজীবনে দেখা দিয়েছে ছন্দপতন।

শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্ভোগে পড়েছেন চরাঞ্চল এবং নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকে। সড়কে পড়েছে এর প্রভাব। ঘন কুয়াশার কারণে কোথাও কোথাও দুর্ঘটনা এড়াতে দিনের বেলাতেও ছোট-বড় যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।

এদিকে বাড়ছে শীত জনিত রোগাক্রান্তের সংখ্যা। শীতে ডায়রিয়া, নিউমেনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন অনেকে। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যাই বেশি। অপরদিকে গবাদিপশুও শীতে কষ্ট পাচ্ছে।

তবে নদী তীরবর্তী বেশির ভাগ এলাকার মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। আর দিন দিন শীত জেঁকে বসায় বেড়েছে গরম কাপড়ের বিক্রি। শহরে গ্রামের ফুটপাতে পুরনো কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন নিম্ন আয়ের শীতার্তরা।

শীতে নাকাল রংপুরবাসী, ছবি: বার্তা২৪.কম

এদিকে রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, টানা দু’দিন ধরে শীতে জবুথবু জনজীবন সহসাই স্বাভাবিক হচ্ছে না। শৈত্য প্রবাহ আরও তীব্র হতে পারে। মাঝারি এ শৈত্য প্রবাহ দুই থেকে তিন দিন থাকতে পারে।

রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান জানান, তৃতীয় দফায় শৈত্য প্রবাহ শুরু হওয়ায় জেলার শীতার্ত মানুষদের জন্য আবার শীতবস্ত্র চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। এর আগে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে লক্ষাধিক শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর