মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনের সংখ্যার ভিত্তিতে দেশের সবচেয়ে বড় পিলখানা হত্যা মামলায় হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হবে বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টায়।
রায়ের আকারের দিক থেকেও এটি বৃহত্তম। মোট ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠা রয়েছে এ রায়ে। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে রায়ের অনুলিপি।
বিচারপতি মো. শওকত হোসেন, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চের তিন সদস্যই রায়ে স্বাক্ষর করেছেন।
বিশেষ বেঞ্চ সূত্রে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক গণমাধ্যমকে রায় প্রকাশের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর ওই রায় ঘোষণা করেছিলেন হাইকোর্ট। পুর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচারের দ্বিতীয় ধাপ শেষ হবে। এরপর দণ্ডিত আসামিরা সুপ্রিম কোর্টে আপিলের সুযোগ পাবেন।
হাইকোর্ট রায়ে ১৩৯ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়।
২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আক্তারুজ্জামান পিলখানা হত্যা মামলায় ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। বেকসুর খালাস দেন ২৭৮ জনকে।
পরে এটি ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) হিসেবে হাইকোর্টে আসে। আসামিরা বিচারক আদালতের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেন। ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওই রায় দেন। যার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হতে যাচ্ছে।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দফতর পিলখানায় জওয়ানদের বিদ্রোহ থেকে হত্যাকাণ্ড চলে। বিডিআরের মহাপরিচালক, সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন মারা যান।