মুয়াজ্জেম আলীকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার আহ্বান

ঢাকা, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-14 11:07:15

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলীকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ( ৯ জানুয়ারি) রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী স্মরণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানানো হয়।

২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিউমোনিয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী।

এ সময় সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, মো. শাহরিয়ার আলম,সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তার যে ভূমিকা অবিস্মরণীয়।

সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর আরেকটি বড় কৃতিত্ব হল ১৯৯৯ সালে তিনি যখন ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করছিলেন, সে সময় ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মহিউদ্দিন আহমদ সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলীকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার আহ্বান জানান।

মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, ২০০১ সালে লতিফুর রহমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নিয়ে সে রাতেই যে ১২-১৪ জন সচিবকে সরিয়ে দেন, তাদের মধ্যে সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীও ছিলেন। তাকে বানানো হয় ফরেন সার্ভিস একাডেমির প্রিন্সিপাল। সেখান থেকে তিনি অবসরে যান।সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ১৯৬৮ সালে সাবেক পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসের একজন সদস্য ছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তিনি আমাদের কূটনৈতিক ফ্রন্টে একজন তরুণ দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধার ভূমিকা পালন করেন।

ওয়াশিংটনের পাকিস্তান অ্যাম্বেসিতে তৃতীয় সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি তার সিনিয়র বাঙালি সহকর্মীদের সঙ্গে পাকিস্তান সরকারের বাংলাদেশে গণহত্যাকে  Government by murder হিসেবে ঘোষণা করে চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।

তখন ওয়াশিংটনে বাঙালি কর্মকর্তাদের মধ্যে ডেপুটি চিফ অব মিশন এনায়েত করিম (পরে পররাষ্ট্র সচিব), পলিটিক্যাল কাউন্সিলর শাহ এএমএস কিবরিয়া (পরে পররাষ্ট্র সচিব ও অর্থমন্ত্রী) এবং ইকোনমিক কাউন্সিলর এএমএ মুহিত (পরে অর্থমন্ত্রী) একযোগে পদত্যাগ করে সারা দুনিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন।

এ সময় পাকিস্তানের ১৯টি দূতাবাস থেকে ১১৫ জন বাঙালি কর্মকর্তা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাজধানীতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রবল ভূমিকা রাখেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর