রাজশাহীতে নিয়ম অমান্য করে পদ্মা নদীর তীরের কাছাকাছি এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করার অভিযোগে দুই ইজারাদারকে ৫০ হাজার করে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই এলাকা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হকের নির্দেশে পবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল হায়াত বালুমহালে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
ওই দুই ইজারাদার হলেন রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য আনোয়ার হোসেন ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং আওয়ামী লীগ নেতা রজব আলী।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল হায়াত জানান, বালুমহাল ইজারার শর্ত অনুযায়ী তাদের পদ্মা নদীর তীর থেকে দেড়-দুই কিলোমিটার বাইরে গিয়ে বালু তোলার কথা ছিল। তারা সেটা লঙ্ঘন করে বালু উত্তোলন করছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের কাছ থেকে জরিমানার টাকা আদায় করা হয়েছে এবং ওই এলাকা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পবা উপজেলার মদনপুর, কসবা ও চারহরিপুর মৌজার বালুমহাল ইজারা নিয়ে সোনাইকান্দি এলাকা থেকে আনোয়ার হোসেন এবং হাড়ুপুর ও নবগঙ্গা মোজার বালুমহাল ইজারা নিয়ে রজব আলী অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিলেন। বাংলা সনের হিসাব ধরে পহেলা বৈশাখ থেকে নতুন বছরের জন্য বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়ে থাকে। ইজারা নেওয়ার পর থেকেই তারা বালু উত্তোলন করে আসছিলেন।
ইজারার শর্ত অনুযায়ী নদীর তীর থেকে দেড় কিলোমিটার বাইরে গিয়ে বালু উত্তোলন করার শর্তে তাদের বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়েছিল। অথচ তারা তীরের এক কিলোমিটারের ভেতরেই বালু উত্তোলন করছিলেন। এমন কি সোনাইকান্দি এলাকায় নতুন নির্মিত পদ্মার তীর রক্ষা বাঁধের ১০০ মিটারের মধ্য থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল।
এছাড়াও সোনাইকান্দি এলাকা থেকে বালু উত্তোলনের কারণে নতুন নির্মাণ বাঁধের দুইটি স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ নিয়ে ওই এলাকা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডে থেকে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেয়া হয়েছিল। এছাড়াও নবগঙ্গা ও সোনাইকানি দুইটি বালুমহাল ইজারাদার পদ্মার একাংশের জলধারায় বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে।