জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়নি

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 10:49:37

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

তিনি বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে কিনা এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন এখনো কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়নি। তবে প্রতিটি স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে।

সোমবার (১৬ জুলাই) দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে সবজায়গায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেই হিসাবে আমরা নির্বাচনকে আরও স্বচ্ছ ও সফলভাবে সম্পাদন করার জন্যে প্রযুক্তিটি ব্যবহার করতে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে রংপুরের একটি কেন্দ্রে, খুলনায় দুটি কেন্দ্রে, গাজীপুরে ৬টি কেন্দ্রে এ প্রযুক্তির ব্যবহারে সফলতা পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ৩০ জুলাই তিন সিটি নির্বাচনের মধ্যে বরিশাল ১০টি কেন্দ্রে, রাজশাহী দুটি কেন্দ্রে এবং সিলেটে দুটি কেন্দ্রে আমরা ইভিএম (ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন) ব্যবহার করব। এছাড়া কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচনে তিনটি কেন্দ্রে ব্যবহার করব।

স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ইভিএম প্রযুক্তিটির ব্যবহারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমাদের নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত আছে আগামী দিনগুলোতে যত ধরণের স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে প্রতিটি নির্বাচনে আমরা ইভিএম ব্যবহার করব। যদি অধিক কার্যকর ও ভালো রেজাল্ট পাই তাহলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কিছু কিছু কেন্দ্রে আমরা ইভিএম ব্যবহার করার চিন্তা করছি।

ইসি সচিব জানান, শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচন নয় সারাবছর কিন্তু বিভিন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমাদের প্রত্যেকটি স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের চিন্তা রয়েছে। রংপুর, খুলনা ও গাজীপুরে ব্যবহার হয়েছে এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এ বিষযে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

একটি ইভিএম মেশিনের ব্যয় সম্পর্কে তিনি জানান, ইভিএমের একটি মেশিনের পেছনে প্রায় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা ব্যয় হয়ে থাকে। শুধু মেশিন নয় এর সঙ্গে কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তিসহ নানা বিষয় যুক্ত থাকে।

আগামী সংসদ নির্বচন পর্যন্ত আরপিও এর বিষয়ে কোনো সংশোধনীর পরিকল্পনা নেই ইসি’র। তবে একটি পরিকল্পনা রয়েছে তা হলো অধ্যাদেশটি ইংরেজি রয়েছে তা বাংলাতেও করার। ইংরেজি ও বাংলা দুটিতেই থাকবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর