পরিবহন চাঁদাবাজি রাস্তায় নয় অফিসে: মালিক সমিতি

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-23 14:45:46

ঢাকা: সড়ক, মহা-সড়কে সব ধরনের চাঁদা মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। তাদের মতে চাঁদাবাজির বিষয়টি শ্রমি ফেডারেশনের সঙ্গে আলচনা করে সমিতি অফিসে বসেই আদায় করা হবে। এতে সড়কে একদিকে যেমন যানজট এবং নামে বেনামে চাঁদাবাজ মুক্ত হবে।

মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) রাজধানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা ও কাউন্সিল অধিবেশনে এ বক্তব্য দিয়েছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।

সভাপতির বক্তব্যে মশিউর রহমান রাঙ্গাও এ বক্তব্য সমর্থন করেন। গুলিস্তান এলাকার কাজী বশির মিলনায়তনে (মহানগর নাট্যমঞ্চ) এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে ৬৪ জেলার পরিবহন মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ তাদের সমস্য ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। এছাড়া বিভাগিয় ৮টি মহানগরের নেতারা বক্তব্য দিয়েছেন। এ অধিবেশনে সমিতির অর্থবিল উত্থাপিত হয় এবং তা সর্বসম্মিতিতে অনুমোদন লাভ করে। 

জেলা ও বিভাগীয় নেতাদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্যাহ বলেন, “দেশের সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি হচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনির কিছু অসাধু কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন নামে বেনামে শ্রমিক সংগঠন ও রাজনৈতিক সংগঠনের ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজি হচ্ছে। এটি যে সত্য নয়, তা বলছি না। আমরা বলছি সড়কের কোথাও চাঁদাবাজি থাকবেনা। চাঁদা আদায় হবে যার যার অফিসে। শ্রমিক-মালিক তার কার্যালয়ে গিয়ে চাঁদা দিয়ে আসবেন। তাই বলছি, রাস্তায় কোন চাঁদা চলবে না।”

দাউদকান্দিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ওজন স্কেলে দুর্নীতি ও চালকদের হয়রানি বন্ধের জন্য সম্মেলনে প্রস্তাব আসে। এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক বলেন, “দেশে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী চাচ্ছে ওজন স্কেল উঠে যাক। এতে লাভবান তারাই হবে। তারা সরকারকে হুমকি দিচ্ছে, পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেবে। এ নিযে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ওজন স্কেল পরিবহন ও দেশের সড়কের স্বার্থেই থাকা উচিৎ। তবে যেসব স্থানে এ স্কেল স্থাপন করা হয়েছে, তার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দুর্নীতি করছে এমন অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে সরকার ও মালিক শ্রমিক কাজ করছে। তবে এ স্কেল উঠে গেলে দুর্নীতিবাজরাই উৎসাহিত হবে।”

সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, “দেশে শুধুমাত্র পরিবহনের ইন্স্যুরেন্স আছে, কিন্তু তৃতীয় পক্ষ ইন্স্যুরেন্স বলে একটা কথা আছে, তা হচ্ছেনা। এ পদ্ধতি থাকলে মালিককে দুর্ঘটনার ক্ষতিপুরণ দিতে হতো না। ওই বীমার টাকাই সংশ্লিষ্ট জেলার প্রশাসন ক্ষতিপুরণের ব্যবস্থা করতে পারতো। এতে একদিকে জটিলতা কাটতো এবং সরকার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় বাড়তো।’’

এ সম্পর্কিত আরও খবর