তিন পার্বত্য জেলাকে গুরুত্ব দিয়েই শুরু পঞ্চম কৃষি শুমারির

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 23:59:42

দেশের তিনটি পার্বত্য জেলাকে গুরুত্ব দিয়ে মাঠ পর্যায়ে শুরু হয়েছে পঞ্চম কৃষি শুমারির কাজ। গত শুমারি থেকে এ শুমারিতে পাহাড়ি অঞ্চলের কৃষি জাত পণ্য বেড়েছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষি (শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) শুমারি-২০১৮ এর কার্যক্রম রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার ২৫টি উপজেলায় কৃষি শুমারি শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কৃষি শুমারির মাঠ পর্যায়ের কাজ শুরু করেছে। মাঠ পর্যায়ে কাজকে এগিয়ে নিতে রাঙামাটিতে প্রথম অবহিতকরণ সভাও করেছে বিবিএস।

এসব অঞ্চলে নানাজাতের ধান, কুমড়া, মারফা, অড়হর, শিম, শশা, করলা, ঢেঁড়শ, তিল, কাঁঠাল, ভুট্টা, আদা, যব, তুলা, হলুদ, পাহাড়ি আলু, শাবাং (সবজির নাম), জুমিয়া কচু, মাকসহ বিভিন্ন ফসলের শুমারি শুরু হয়েছে।

গত শনিবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে রাঙ্গামাটিতে কৃষি শুমারির একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) জাফর আহাম্মদ খান, রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমনী আক্তার, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনোরঞ্জন ধর, রাঙামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) জাফর আহাম্মদ খান বলেন, পাহাড়ি অঞ্চলকে গুরুত্ব দিয়েই মাঠ পর্যায়ে কৃষি শুমারির কাজ শুরু হলো। আমরা সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভাও করেছি। আমাদের অনেকের ধারণা ছিলো কৃষি মানেই সমতল, এখন এই কথার কোনো ভিত্তি নাই। এখন পাহাড়ে নানা ধরনের ফসল হচ্ছে।

কৃষি শুমারি প্রসঙ্গে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে কোনো কৃপণতা দেখান না প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় পার্বত্য এলাকার কোনো প্রকল্প উত্থাপন করা হলে সঙ্গে সঙ্গে অনুমোদন দেন তিনি। পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অবহিত আছেন।

তিনি আরও বলেন, কৃষিশুমারি পরিচালনার মাধ্যমে কৃষি খানার সংখ্যা, খানার আকার, ভূমির ব্যবহার, কৃষির প্রকার, শস্যের ধরণ, চাষ পদ্ধতি, গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগীর সংখ্যা এবং কৃষি ক্ষেত্রে নিয়োজিত জনবল সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। এ ধরনের তথ্য-উপাত্ত কৃষি ক্ষেত্রের উন্নয়ন কৌশল নির্ধারণ এবং অগ্রগতি পর্যাবেক্ষণে বেঞ্চমার্ক তথ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

দেশের আয়ের মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী কৃষি উল্লেখ করে বিবিএস সচিব বলেন, জিডিপিতে বর্তমানে (২০১৭-১৮) বৃহত্তর কৃষির সমন্বিত অবদান শতকরা ১৪ দশমিক ১০ ভাগ এবং মোট শ্রমশক্তির শতকরা ৪০ দশমিক ৬০ ভাগ কৃষিতে নিয়োজিত। প্রতি দশ বছর অন্তর কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয়। “পরিসংখ্যান আইন ২০১৩” অনুযায়ী জনশুমারি এবং অর্থনৈতিক শুমারির পাশাপাশি কৃষি (শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) শুমারি পরিচালনা করার ব্যাপারে বিবিএস এর আইনগত বাধ্যবাধকতা সর্বোপরি দায়বদ্ধতা রয়েছে।

         

এ সম্পর্কিত আরও খবর