ময়মনসিংহের ভালুকায় এক কলেজ শিক্ষককে মারধরের অভিযোগে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদসহ ১১ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহ মহিলা ডিগ্রি কলেজের খণ্ডকালীন প্রভাষক ও ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মো. হুমায়ুন কবীর (৩০) বাদী হয়ে মামলাটি করেন। পরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৮নং আমলি আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ভালুকা থানা পুলিশকে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহজাহান কবীর সাজু।
আদালত সূত্র জানায়, মামলায় ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বাদী পাঁচজন আসামির নাম উল্লেখ করেছেন। তারা হলেন- আবুল কালাম আজাদ (৪৫), ইমরান আলী (৩৩), নাজমুল (২৫), মানিক (২৮) ও আবির(২৫)।
জানা গেছে, আবুল কালাম আজাদ বিগত সময়ে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি ভালুকা উপজেলা বিএনপির সদস্য এবং হবিবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে আবুল কালাম আজাদ দল বদল করে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। একই সঙ্গে একাদশ সংসদ নির্বাচনে তার ভগ্নিপতি কাজীম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার পর উপজেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি পদ পান উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক তালুকদারকে তুচ্ছ ঘটনায় লাঞ্ছিত করেন মামলার ১নং আসামি ভালুকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বীরমুক্তিযোদ্ধা নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট করেন। বাদী ওই পোস্টটি শেয়ার করেন। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার সিডস্টোর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাদীকে পেয়ে ১নং আসামির নির্দেশে অন্য আসামিরা মারধর করে। এতে বাদীর ডান কান মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ভালুকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে মামলার অভিযোগ দেখে পদক্ষেপ নেব।’