বছরের পর বছর ধরে রাজনৈতিক প্রভাবে হোল্ডিং ট্যাক্স (গৃহকর) প্রদান করছে না সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) বেশকিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। অনেকে বহুতল ভবনের আয়তন গোপন করে, বর্গফুট কম দেখিয়ে এবং আবাসিক সুবিধার নামে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন করে হোল্ডিং ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
কোটি কোটি টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া থাকায় সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন কাজও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সিসিক জানিয়েছে, হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ সিসিকের বর্তমানে মোট পাওনা ছিল ৩০ কোটি টাকা। এসব অর্থ আদায়ে চলতি মাস থেকে অভিযান শুরু করেছে তারা। এর মধ্যে গতকাল সোমবার (২০ জানুয়ারি) অভিযান চালিয়ে ৩৮টি হোল্ডিং থেকে ৪০ লাখ আদায় করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। যা একদিনে সিসিকের সর্বোচ্চ হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের রেকর্ড বলে জানা গেছে।
সিসিকের দাবি, বকেয়া অর্থ আদায়ে সোচ্চার তারা। এজন্য ট্যাক্স আদায়কারী কর্মকর্তারা নিয়মিত চেষ্টা করছেন। ২৭টি ওয়ার্ডে প্রতি অর্থবছরে হোল্ডিং ট্যাক্সের ৪ কিস্তিতে কম্পিউটারাইজড বিল যথাসময়ে করদাতাদের নিকট বিতরণ করা এবং অনাদায়ী করদাতাকে যথারীতি পর্যায়ক্রমে বিল ও দাবির নোটিশ প্রদান করা হয়। সিলেট নগরে বর্তমান প্রায় ৫৫ হাজার সরকারি ও বেসরকারি হোল্ডিং রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি প্রায় ১ হাজার, বাকি প্রায় ৫৪ হাজার বেসরকারি।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দিন বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদানে নগরবাসীর মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। রাজস্ব ছাড়া কর্তৃপক্ষ উন্নয়ন করবে কিভাবে। যত বেশি রাজস্ব তত বেশি উন্নয়ন। নিয়মিত হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করলে কিছু অর্থ মওকুফও করা হয়।
তিনি বলেন, নগরে প্রায় ৩০ কোটি টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া রয়েছে। অনেকে ট্যাক্স দিতে চায়না। আমরা অর্থ আদায়ে বার বার নোটিশ দেই। তিনবার নোটিশ প্রদানের পরও কেউ অর্থ না দিলে অভিযান পরিচালনা করা হয়। হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ে সিটি করপোরেশনের অভিযান চলমান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।