সিলেট নগরীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য চলছেই। সিটি করপোরেশন থেকে নগরে রিকশার ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়া হলেও সিএনজি চালিত অটোরিকশার ভাড়া নির্ধারণ না করায় কোন রুটে ভাড়া কত হবে সেটি স্থানীয় শ্রমিক সংগঠনগুলোই নির্ধারণ করছে।
জানা গেছে, নগরের কুমারগাও বাসস্ট্যান্ড থেকে মধুশহীদ এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া কিছুদিন আগেও ছিলো সর্বোচ্চ ৬০ থেকে ৭০ টাকা, এখন সেখানে দিতে হয় ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা।
যাত্রীর তুলনায় পর্যাপ্ত সিএনজি অটোরিকশার থাকলেও কুমারগাও বাসস্ট্যন্ডের অটোরিকশা চালকদের সিন্ডিকেটের কারণে বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয় যাত্রীদের। এমন অবস্থা পুরো সিলেট নগরের।
নগরের টিলাগড় এলাকার বাসিন্দা শরিফ হাসান বলেন, অটোরিকশার চালকেরা ইচ্ছেমত ভাড়া আদায় করে। নগরের বন্দরবাজার থেকে টিলাগড় সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া কখনও ৮০ টাকা আবার কখনও ১৩০ টাকাও নেন চালকেরা। এগুলো দেখার কেউ নেই। সিলেটে টাউন বাস না থাকায় আমরা বিপাকে পড়েছি।
সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক তারিফ মিয়া বলেন, মালিকের জমা ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই ভাড়া বেশি নিতে হচ্ছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার ফয়সল মাহমুদ বলেন, সিলেটে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলের কোনও নীতিমালা নেই। তাই যে যেভাবে পারছে ভাড়া আদায় করছে। নীতিমালা থাকলে ব্যবস্থা নিতে পারতাম।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন, সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া নির্ধারণ করার ক্ষমতা সিটি করপোরেশনের নেই। তাই আমাদের কিছু করার নেই।