অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়ায় শ্যালিকাকে খুন

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-23 04:08:57

ঢাকা: চার বছর ধরে শ্যালিকা বৃষ্টি (১৬) সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন দুলাভাই সুমন (২৯)। সম্প্রতি বিষয়টি পরিবারে জানাজানি হলে শ্যালিকা বৃষ্টিকে বিয়ের তাগিত দেয় পরিবারের লোকজন। এতে দুলাভাই সুমন ক্ষিপ্ত হয়ে বৃষ্টিকে মগবাজার এলাকায় বৈকালি আবাসিক হোটেলে ৪০৭ নম্বর রুমে ডাকে। সেখানে কথাবার্তার এক পর্যায়ে আবারও অনৈতিক সম্পর্কে স্থাপন করতে চাইলে বৃষ্টি বাঁধা দেয়। রাগের মাথায় সুমন গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বৃষ্টিকে হত্যা করে।

বুধবার (১৮ জুলাই) কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আলোচিত বৃষ্টি হত্যা সম্পর্কে এসব তথ্যদেন র‍্যাব-৩ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইমরানুল হাসান।

লেফটেন্যান্ট  কর্নেল ইমরানুল হাসান বলেন, আলোচিত এই ঘটনায় একমাত্র আসামী সুমনকে মিরপুরে পাইকপাড়া হতে গ্রেফতার করে র‍্যাব-৩। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে সুমন।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, সুমন জানায় যে ৪ বছর ধরে বৃষ্টির সঙ্গে তার সম্পর্ক। পাবিবারিকভাবে বিষয়টি জানাজানি হলে, বৃষ্টি তার বোনের সংসার বাঁচাতে সম্পর্ক থেকে দুরে সরে যায়। অন্যদিকে পারিবারিক ভাবে বৃষ্টির বিয়েও ঠিক হয়ে যায়। সুমন ক্ষিপ্ত হয়ে চূড়ান্ত ফয়সালার জন্য বৃষ্টিকে হুমকি দিয়ে ঐ আবাসিক হোটেলে ডাকে।

সমঝোতা না হওয়ায় এক পর্যায়ে বৃষ্টির ওড়না গলায় পেঁচিয়ে খুন করে সুমন। পরে দাঁত দিয়ে ওড়না কেটে তার একাংশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। হোটেল থেকে বের হয়ে, সুমন নিজেই তার বউ বৃষ্টির মেজ বোন হাসনাকে ফোন করে জানায়, বৃষ্টি মগবাজারে একটি আবাসিক হাসপাতালে অাত্মহত্যা করেছে। ঘটনার দিন থেকেই সুমন নিজেকে আত্মগোপন করে রেখেছিল।

এই ঘটনায় নিহত বৃষ্টির বাবা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সোমবার (১৬ জুলাই) মগবাজারের আবাসিক হোটেল 'বৈকালি' থেকে বৃষ্টি (১৬) নামে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই সময় পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন সকালে সুমন ও বৃষ্টি স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলের ৪০৭ নম্বর কক্ষে উঠেছিলেন। বিকেলে বৃষ্টিকে কোলে করে নিচে নামানোর চেষ্টা করে সুমন। হোটেল কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদে, সুমন বলে তার স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়েছে। পরে পুলিশ আসার আগে হোটেল থেকে কেটে পড়ে সুমন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর