ড্রিমলাইনারের ড্রিম ফ্লাইট সিঙ্গাপুর রুটে

, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম  | 2023-08-23 19:37:38

ঢাকা: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারের ড্রিম ফ্লাইট শুরু হবে ঢাকা-সিঙ্গাপুর রুটে। স্বপ্নের এই উড়ান হবে আগামী ১ সেপ্টেম্বর। ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৮ উড়োজাহাজ ‘আকাশবীণা’ একই দিন ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটেও ফ্লাই করবে। 

রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সে যোগ দেওয়ার আগেই এই নিয়ে বিমানের কর্মী, এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ও সাধারণের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ তৈরি হয়েছে। দিনক্ষণ চুড়ান্ত হওয়ার আগেই সবারই আগ্রহ ছিল কবে ও কোন রুট দিয়ে শুরু হচ্ছে এর প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট।  

প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট ও এর রুট জানার পর শুরু হয়েছে কিভাবে এই উড়ানের যাত্রী হওয়া যায়। এরই মধ্যে টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে বলে বিমান সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। স্বপ্নের উড়ানের টিকেট পেতে সবাই যোগাযোগ করছেন এয়ারলাইন্সের সেলস অফিসে।

এরই মধ্যে ‘আকাশবীণা’ আকাশে উড়েছে। যুক্তরাজ্যের ফার্নবোরো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারশো অংশ অংশগ্রহনকারীদের দৃষ্টি কেড়েছে। গত বুধবার এয়ারশোতে ফার্নবোরোর আকাশে ড্রিমলাইনারের অ্যাক্রোবেটিক শো সকলের দৃষ্টি কেড়েছে।

এয়ারশো থেকে বিমানের জেনারেল ম্যানেজার (পিআর) শাকিল মেরাজ বার্তা২৪.কমকে জানান,  অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের ফার্নবোরোর এয়ারশোতে অংশগ্রহণ রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সের জন্য ছিল অনেক মর্যাদা ও সম্মানের। এতে আকাশবীণা অ্যাক্রোবেটিক শোতে অংশ নিয়ে হাজার হাজার বিনিয়োগকারী, ক্রেতা, বিক্রেতা ও এয়ারলাইন্স কর্মকর্তাদের মুগ্ধ করেছে। 

বিমান সূত্রে জানা গেছে, সমূদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৩ হাজার ফুট ওফর দিয়ে উড়তে সক্ষম দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট এই উড়োজাহাজ বিশ্বের যে প্রান্তে থাকুক না কেন ঢাকায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সময় সময় এর যোগাযোগ থাকবে। এটি বোয়িং ৭৬৭ উড়োজাহাজের চেয়ে ২০ শতাংশ কম জ্বালানি লাগে। উড়োজাহাজটিতে মোট আসন রয়েছে ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাসের আসন ২৪টি। ড্রিমলাইনার টানা ১৬ ঘন্টা ফ্লাই্ করতে পারে।   

সূত্র জানায়, চতুর্থ প্রজন্মের সর্বাধুনিক উড়োজাহাজ ড্রিমলাইনার ২১ আগস্ট বিমানের বহরে যুক্ত হবে। এর আগে ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার একটি অগ্রবর্তী দল উড়োজাহাজটির খুঁটিনাটি যান্ত্রিক বিষয়গুলো যাচাই করে নেবেন। দেশের আসার পর কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স, উড়োজাহাজের রেজিষ্ট্রেশনসহ কিছু প্রক্রিয়া শেষ করতে ৫ থেকে ৭ দিন সময় লাগবে। এসব প্রক্রিয়া শেষে ১ সেপ্টেম্বর ড্রিমলাইনার দিয়ে প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য সকল প্রস্তুতি নেওয়া হবে।

এদিকে ড্রিমলাইনার পরিচালনার জন্য ১৪ জন জৈষ্ঠ্য বৈমানিককে প্রস্তুত করা হচ্ছে। এতে ইন-ফ্লাইট সার্ভিসের জন্য তৈরি করা হচ্ছে এক ঝাঁক কেবিন ক্রু। ড্রিমলাইনারের দ্বিতীয় উড়োজাহাজটি নভেম্বরে এবং বাকি দুটি আসবে আগামী বছরের (২০১৯) সেপ্টেম্বরে। 

এই উড়োজাহাজের বসেই যাত্রীরা বিশেষ এক ধরনের ফোনসেটের মাধ্যমে আকাশে ভ্রমনকালীণ সময়েই ফোনে প্রিয়জনদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে। ফোনে কথা বলা ছাড়াও রিয়াল টাইম লাইভ দেখা যাবে জনপ্রিয় নয়টি টেলিভিশন চ্যানেলের। এতে রয়েছে বিশ্বের আধুনিক সব বিনোদনের ব্যবস্থা। ড্রিমলাইনারের ইন-ফ্লাইট এন্টারটেইনমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে দেখা যাবে ব্লকবাস্টার মুভি। শোনা যাবে গান, থাকছে ভিডিও গেমস। ড্রিমলাইনারের রাতের ফ্লাইটের পরিবেশ হবে নির্জন ও শান্ত। ফ্লাইটের ভেতরের পরিবেশ অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে জ্বলবে আলো। 

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর