যেভাবে হত্যা করা হয় পুলিশ পরিদর্শক মামুনকে

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 22:51:53

ঢাকা: পুলিশের বিশেষ শাখা এসবির ইন্সপেক্টর মামুন ইমরান খান হত্যায় জড়িত থাকা চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা পূর্ব বিভাগের একটি টিম। গ্রেফতারকৃতরা হলো-  মিজান শেখ,  মেহেরুন্নেছা স্বর্ণা,  সুরাইয়া আক্তার,  ও ফারিয়া বিনতে মীম।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এ হত্যাকান্ডের বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান, ডিএমপি’র  অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ আবদুল বাতেন।

ডিএমপি’র  অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন,  রহমত ‍উল্লাহ ইন্সপেক্টর মামুনের বন্ধু। রহমত উল্লাহ পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার। তাদের মধ্যে ৪/৫ বছরের  বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তারা দুইজনে বিভিন্ন নাটক ও সিরিয়ালে অভিনয় করত। আটককৃত আফরিনের সঙ্গে রহমত পূর্বে অভিনয় করেছেন। আফরিন কল করে রহমতকে তার বান্ধবীর বার্থডে পার্টিতে আমন্ত্রণ জানায়। রহমত পার্টিতে একা না গিয়ে ইন্সপেক্টর মামুনকে সঙ্গে নিয়ে যায়।

পার্টি করতে বনানীর বাসায় গেলে তাদেরকে বাসার দুই তলায় নিয়ে যায়। হঠাৎ করে স্বপন, দিদার, আতিক ও মিজান ঐ বাসায় ঢুকে অনৈতিক কাজের অভিযোগে মামুন ও রহমতউল্লাহকে আটকে রেখে মারধর করে। মারধরের এক পর্যায়ে মামুন মারা যায়। মামুন মারা গেলে তারা ভয় পেয়ে যায়। রহমতের হাত-পায়ের বাঁধ খুলে দেয়। এক পর্যায়ে তারা মামুনের লাশ গুম করার সিদ্ধান্ত নেয়।

পরবর্তী সময় মঙ্গলবার (১০ জুলাই) গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানাধীন উলুখোলা এলাকায় রাস্তার পাশে একটি জঙ্গলে মামুনের বস্তাবন্দি লাশ ফেলে পরিচয় গোপন করার জন্য লাশে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে চেহারা বিকৃত করে তারা।

গোয়েন্দা পুলিশের কাছে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য দিয়েছে রহমত উল্লাহ। রহমতের দেখানো মতে গাজীপুরের উলুখোলা থেকে মামুনের বিকৃত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে, বুধবার (১৮ জুলাই) রাতে বাড্ডা ও হাজারীবাগ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখিত আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ আবদুল বাতেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা বলে, মেহেরুন্নেছা স্বর্ণা, আফরিন, আন্নাফি এর আমন্ত্রণে আসামী রহমতউল্লাহ ভিকটিম মামুনকে বনানীর মডেল টাউনস্থ রোড নং-২/৩ এর ৫ নং বাড়ীতে নিয়ে যায়। আসামীরা উক্ত বাড়িতে মামুনকে মারধর করে হত্যা করে। পরবর্তী সময়ে মামুনের লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে রহমতউল্লাহর গাড়ী যোগে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানাধীন উলুখোলা এলাকায় রাস্তার পাশে একটি জঙ্গল নিয়ে যায়। মামুনের পরিচয় গোপন করার জন্য লাশে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে চেহারা বিকৃত করা হয়।

উল্লেখ্য গত রবিবার (০৮ জুলাই) সবুজবাগ থানায় মামুনের নিখোঁজ সংক্রান্তে একটি জিডি করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশ উক্ত জিডির ছায়া তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ১০ জুলাই মঙ্গলবার  ভিকটিম মামুনের বন্ধু রহমতউল্লাহকে গ্রেফতার করে।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর