পৌষ মাস থেকে সারাদেশে জেঁকে বসে শীত। তাপমাত্রাও চলছে ওঠা-নামার মধ্যেই। একইসঙ্গে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়। হাড় কাঁপানো শীত ও বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস মাঘের শুরুতে বৃষ্টিসহ তীব্র শীতের পূর্বাভাস দিয়ে আসছিল। আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) মাঘের ১৪ তারিখ চলছে। এ সময়ের মধ্যে উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের দিকে মাঝে মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। একই সঙ্গে দু-এক জায়গায় সামান্য বৃষ্টি হয়। তবে রোদের প্রখরতায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দিনের বেশিরভাগ সময় গরম অনুভূত হয়।
তবে আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এতে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।
গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় যশোর ও তেঁতুলিয়ায় এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় টেকনাফে ২৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আগামী বুধবার সন্ধ্যার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এতে দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে। শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে। মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। আরও তিনদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টার আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চ চাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, সীতাকুণ্ড, কুমিল্লা, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুমারখালি অঞ্চলসহ রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে।