সিলেট: বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী বদরুজ্জামান সেলিম সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন (সিসিক) থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পর থেকে আগ্রাসী হয়ে উঠছে পুলিশ। সিলেট বিএনপি নেতাদের দাবি, পুলিশ বদরুজ্জামান সেলিমসহ বিএনপি ছাত্রদলের নেতাদের বাসা-বাড়িতে তল্লাশির নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। অনেকেই নিজ বাসায় লাগানো সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত চিত্র সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাহবুবুল হক চৌধুরী ফেসবুকে বৃহস্পতিবার রাতে তার বাসায় অবস্থানরত পুলিশ সদস্যদের কিছু ছবি আপলোড করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, তখন রাত ২টা বাজে। হঠাৎ বাসায় পুলিশ এসে তাণ্ডব চালায়। এ সময় তিনি বাসায় ছিলেন না। পরে তার অসুস্থ মা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আফছর খানের বাসায় তল্লাশির নামে পুলিশ তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি জানান, রাত ৩টার দিকে হঠাৎ পুলিশ বাসার চারদিকে ঘেরাও করে রাখে। এরপর ভেতরে ঢুকে আলমারি খুলে ব্যাপক তছনছ করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) দুপুর দেড়টায় নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী বদরুজ্জামান সেলিম। তার অভিযোগ বাসার বাইরে বিপুলসংখ্যক সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেয়। এমন পরিস্থিতির পরে তারা আরিফুল হক চৌধুরীর বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ জানান, বদরুজ্জামান সেলিম বাসা থেকে বের হয়ে আসার পর কিছু সংখ্যক পুলিশ তার বাসায় ঢুকে তল্লাশির নামে জিনিসপত্র তছনছ করে। বদরুজ্জামান সেলিম তখন তার মা এবং স্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। তাদের অনুপস্থিতিতে পুলিশ বাসায় তল্লাশি চালায়।
আরিফুল হক চৌধুরীর অভিযোগ প্রতি রাতেই পুলিশ কারো না কারো বাসায় হানা দিচ্ছে। তারা ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নেতাকর্মীদের শহর ছাড়া করতে চায়। আরিফ জানান, তিনি রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ দিয়ে এসেছেন।
তিনি আরও জানান, পবিত্র ভূমি সিলেটে খুলনা এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না। যেকোনো মূল্যে জনগণ তা প্রতিহত করবে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘পুলিশ সাধারণ জনগণের নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে। কোথাও আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে অভিযোগ পেলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’