করোনা ভাইরাসের প্রস্তুতি ও সতর্কতার আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে চালু করা হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড।
আর ভাইরাস বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে আগামী শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছে রামেক হাসপাতালের চিকিৎসকদের তিন সদস্যের একটি টিম।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইসোলেশন ওয়ার্ডটি চালু করেছে। দু’টি ওয়ার্ডে সাতটি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। হাসপাতালের সিনিয়র-জুনিয়র মিলিয়ে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত হলেই ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবেন তারা। ওয়ার্ডটির সামনে করোনা ভাইরাস ওয়ার্ডের বোর্ড টানানোর প্রক্রিয়া চলছে।
হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনার পরপরই তাদের নিয়ে বিশেষ সভা করেছে হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য নার্সরা যাতে আতঙ্কিত না হন, সে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মাহাবুবুর রহমান খান বাদশা বলেন, এটি ভাইরাস আক্রান্ত রোগ। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে যেটুকু জেনেছি, তা হলো- সর্দি, কাশিসহ অন্যান্য কারণে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। তবে বাংলাদেশে এ ভাইরাস নিয়ে তেমনভাবে আতঙ্কিত নই আমরা (চিকিৎসকরা)। কারণ ভাইরাসের সাধারণ একটি মৌসুম থাকে, মৌসুম শেষ হলে ভাইরাসের প্রকোপ কমে যায়। চীনেও এখন ভাইরাসের বিস্তার কিছুটা কমে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, রাজশাহীর বেশকিছু ছেলেমেয়ে চীনে পড়াশোনার জন্য থাকেন। তাদের মধ্যে উহানেও কিছু আছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তারা এখন দেশে ফেরার চেষ্টা করছে। সেক্ষেত্রে তারা রাজশাহীতে নিজ বাড়িতে আসলে তাদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।'
রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনায় আমরা আগাম প্রস্তুতি রেখেছি। তবে সত্যিকার অর্থে আমাদের কাছে ভাইরাস বিষয়ে অভিজ্ঞ কোনো চিকিৎসক নেই। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামও নেই। সরকার এসব বিষয়ে নজর দিচ্ছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাটা রাখছি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের তিনজন সিনিয়র চিকিৎসক প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রশিক্ষণে পাঠানো হবে। আগামী শনিবার তাদের ঢাকা যাওয়ার কথা রয়েছে।