অ্যাপে কৃষকের ধান সংগ্রহ ৪০ শতাংশ, সময়সীমা বৃদ্ধি

রংপুর, জাতীয়

ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর | 2023-08-26 07:54:08

রংপুরে প্রথমবারের মতো কৃষকের কাছ থেকে অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করছে খাদ্য বিভাগ। গত ৩১ জানুয়ারি (শুক্রবার) পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৪০ শতাংশ ধান সংগ্রহ হয়েছে। তবে খাদ্য বিভাগের দাবি, আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় ধান সংগ্রহে কিছুটা দেরি হচ্ছে।

গেল বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে দেশে প্রথমবারের মতো অ্যাপের মাধ্যমে আমন ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। মূলত অনিয়ম এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমাতেই পরীক্ষামূলকভাবে দেশের ১৬টি উপজেলায় অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ শুরু হয়েছে।

'কৃষকের অ্যাপ' নামে এই পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে রংপুর সদর উপজেলার কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করছে খাদ্য বিভাগ। শুরুর দিকে ধান সংগ্রহে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারে কৃষক কিছুটা শঙ্কিত থাকলেও সুফল পাওয়ায় বেশ খুশি কৃষকরা।

রংপুর সদর উপজেলার পাগলাপীর গঞ্জিপুর গ্রামের তারাজুল ইসলাম বলেন, ‘অ্যাপের মাধ্যমে খাদ্য বিভাগ ধান নেওয়ায় মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমেছে। তবে দায়িত্ববান কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা ও অবহেলার কারণে ধান বিক্রির টাকা পেতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।’

সদ্যপুস্করণী ইউনিয়নের পালিচড়াহাট এলাকার কৃষক মনতাজ আলী জানান, অ্যাপের মাধ্যমে ধান বিক্রি করতে আগের মতো কোনো হয়রানি নেই। দালালদের খপ্পরে পড়তে হয়নি। অনেক সময় ধান দিয়ে টেনশনে থাকতে হতো।

রংপুরে অ্যাপে সংগ্রহ করা হচ্ছে কৃষকের ধান

সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ কৃষকরা। একই সঙ্গে তাদের দাবি, ধান বিক্রির টাকা পেতে যাতে বিড়ম্বনা পোহাতে না হয়, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এদিকে, ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহের সময়সীমা ছিল। প্রথম ধাপের নির্ধারিত এ সময়ে ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৪০ শতাংশ।

নতুন করে আরও সাতদিন (৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) সময় বাড়ানো হয়েছে বলে জানান রংপুর সদর উপজেলার খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আরিফ হোসেন।

বার্তা২৪.কম-কে এই খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে ২ হাজার ৬৯৬ টন আমন ধান। তবে বৈরি আবহাওয়ার কারণে ধান সংগ্রহে কিছুটা দেরি হচ্ছে। এ কারণে দ্বিতীয় ধাপে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এদিকে, কৃষকদের বিড়ম্বনার অভিযোগের ব্যাপারে রংপুর সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অমূল্য কুমার সরকার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘প্রকৃত কৃষকের হাতে টাকা পৌঁছে দিতে ব্যাংকের মাধ্যমে ধানের মূল্য পরিশোধ করা হচ্ছে। এতে যাদের ব্যাংক হিসাব নেই, তাদের নতুন করে ব্যাংক হিসাব চালু করে টাকা পেতে বিলম্ব হচ্ছে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর