ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন শেষ হয়েছে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি)। বরাবরের মতো এবারও ভোট শেষে রাজধানীর অলিতে গলিতে এখনো রয়ে গেছে ব্যানার-পোস্টার।
আর এসব ব্যানার-পোস্টার সরাতে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) মাঠে নেমেছে ‘বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার পোস্টার সংগ্রহের কাজ শুরু করে তারা। এসময় তাদেরকে পোস্টার ঝুলাতে ব্যবহৃত দড়িও সংগ্রহ করতে দেখা যায়।
কথা হলো সালামান নামের এক স্বেচ্ছাসেবকের সঙ্গে। আলাপকালে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, নির্বাচনে ব্যবহার হওয়া কোটি টাকার পোস্টার এখন মূল্যহীন। আমরা এই মূল্যহীন জিনিসটাকে কাজে লাগাতে চাই। বর্জ্য হিসেবে গণ্য এসব পোস্টার পথশিশুদের পড়াশুনার কাজে লাগবে।
তিনি বলেন, বিদ্যানন্দ একটি শিক্ষা সহায়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। আমাদের ফাউন্ডেশনের একটি প্রোজেক্ট আছে। আমরা পথ শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষাদান করি। এই শিক্ষা-কার্যক্রম পরিচালনা করতে বাচ্চাদের জন্যে খাতা কিনতে হয় অনেক টাকার। এইজন্য আমাদেরকে অন্যের সহায়তার ওপর নির্ভর করতে হয়। আমরা সংগ্রহ করা এসব পোস্টার বাছাই করবো। যেগুলোর দুই পাশে ছাপা সেগুলো দিয়ে ঠোঙ্গা বানানো হবে। আর যেগুলোর একপাশে ছাপা আর অন্য পাশ খালি সেগুলো বাচ্চাদের দিবো লেখার খাতা হিসেবে ব্যবহারের জন্য।
ঠোঙ্গাগুলো অসহায় মানুষের মাঝে বিভিন্ন খাবার বিতরণের কাজে ব্যবহার হবে বলে জানান তিনি।
এই স্বেচ্ছাসেবীর সঙ্গে কথা বলে আরো জানা যায়, পোস্টারে ব্যবহৃত পলিথিন ও টাঙানোর জন্য যে দড়ি সেটিও তারা কাজে লাগাবে। শীত বস্ত্র বিতরণের জন্য যে কাপড় পাওয়া যাবে সেগুলো এই পলিথিন দিয়ে প্যাকেট করা হবে। আর দড়িগুলো ব্যবহার করবেন প্যাকেট করা শীতবস্ত্রগুলোর বস্তা বাঁধার জন্য।
কথা বলার এক পর্যায়ে সালমান জানান, তাদের এমন উদ্যোগের কথা শুনে ঢাকার নবনির্বাচিত এক মেয়র নির্বাচনের পোস্টারগুলো তাদেরকে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বিদ্যানন্দ সপ্তাহে দুই দিন করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার পথশিশুদের ‘এক টাকায় আহার’ দেয়। ২০১৬ সাল থেকে তারা এই কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। শনি ও মঙ্গলবার রায়েরবাজার। রোববার ও বৃহস্পতিবার এয়ারপোর্ট রোড। সোমবার ও শুক্রবার মিরপুরের কালশি এবং বুধবার চিড়িয়াখানা এলাকায়।