জমি কিনে বিপদে এতিম পরিবার

রংপুর, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর | 2023-08-21 22:26:26

রংপুরে জমি কিনে প্রতিবেশী মাদক কারবারি চক্রের সাজানো ষড়যন্ত্রে পুলিশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন আশিকুর ইসলাম নামে এক মুদি দোকানি। নগরীর হারাগাছের কার্তিক মধ্যপাড়া এলাকার এই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, পুলিশের তালিকাভুক্ত চিহ্নিত কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী নিজেরা জমি কিনতে ব্যর্থ হয়ে মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে মায়ের জমি দখলের চেষ্টা করছেন। একই সঙ্গে তার পিতৃহীন অসহায় পরিবারকে মাদক মামলার ফাঁদে ফেলে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হয়রানি করছেন।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ ও সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে লিখিত বক্তব্যে এতিম আশিকুর বলেন, গত বছরের জুন মাসে মামা সম্পর্কের স্থানীয় নাসির মিয়ার কাছ থেকে ছয় শতক জমি নগদ টাকায় ক্রয় করে তার মা রাশেদা বেগমের নামে সাব-কবলা দলিল করে নেয়। এর আগে ওই জমি কিনতে চিহ্নিত মাদক কারবারি দুলালীর স্বামী হারুন, রফিকুল ইসলাম রান্টু, রুপালি বেগম, সিন্টু মিয়া ও আনিছুর সরকার ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত তারা ওই জমি কিনতে না পেরে উত্তারাধিকার দাবি করে জনৈক মজিবর রহমান, গোলাম রহমান ও তারেক রহমানের মাধ্যমে থানায় একটি অভিযোগ করেন।

আশিকুর আরও অভিযোগ করেন, গত ২ অক্টোবর ক্রয় করা জমিতে তার পরিবার বাড়ি নির্মাণ শুরু করলে কোনো আইনি নোটিশ ছাড়া হারাগাছ থানার এএসআই শরিফুজ্জামান ও এএসআই শফিকুল ইসলাম এসে নির্মাণ কাজে বাধা দেন। একই সঙ্গে কাজ বন্ধ না রাখলে তাদেরকে গ্রেফতারের ভয়ভীতি দেখান। সম্প্রীতি তার মা এবং তাকে ইয়াবা রাখার অভিযোগ দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় আসামি করেছে পুলিশ। এঘটনার পর থেকে স্থানীয় এলাকাবাসী মাদক কারবারিদের দৌরত্ব বন্ধসহ পুলিশি হয়রানি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বলেও জানান আশিকুর ইসলাম।

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে আশিকুরের পরিবারসহ এলাকার প্রায় শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এসময় মর্জিনা, আমেনা, আতোয়ার ও তসলিম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, পুলিশ মিথ্যা অভিযোগে অসহায় এতিম পরিবারকে হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।

আশিকুরের অভিযোগের ব্যাপারে হারাগাছ থানার এএসআই শরীফুজ্জামান বলেন, আমি তাকে ফোনে কখনো ভয়ভীতি দেখাইনি। তবে কোর্ট থেকে ১৪৪ ধারা জারি হলে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে বিষয়টি অবগত করেছি। আর মাদক মামলার বিষয়টি তদন্তধীন, এব্যাপারে আমি বেশি কিছু বলতে পারব না।

এদিকে রংপুর সিটি করপোরেশনের ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মামুনুর রশিদ মানিক মাস্টার বলেন, আমি গতকাল বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে ঘটনাটা পুরোপুরি শোনা হয়নি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর